দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা এবং বেঠিক খাদ্যাভ্যাসই এই দ্বিতীয় প্রকারের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
‘কোলেস্টেরল’ এর কথা শুনলে অনেকে ভয় পেয়ে যান। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শরীরের জন্য সব ধরনের কোলেস্টেরল খারাপ নয়। মূলত দুই ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় মানবদেহে। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ কিংবা ‘এইচডিএল’ এবং ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ কিংবা ‘এলডিএল’। এর মধ্যে প্রথমটিকে ভারো কোলেস্টেরল বলে ও দ্বিতীয়টি শরীরের জন্য ক্ষতি করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনিয়ন্ত্রিত জীবনচর্চা এবং বেঠিক খাদ্যাভ্যাস এই দ্বিতীয় প্রকারের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ধূমপান
ধূমপান শুধু ফুসফুসের ক্ষতি করে তা নয়, সেইসঙ্গে বাড়িয়ে দেয় ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রাও। সেইসঙ্গে ধূমপান কমিয়ে দেয় এইচডিএলের মাত্রাও। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। তাছাড়া ধূমপানের কারণে সংবহনতন্ত্রের সমস্যাও দেখা দেয় যা কোলেস্টেরলের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
স্থূলতা
‘বডি মাস ইনডেক্স’ যদি ৩০ কিংবা তারও বেশি হয়ে যায় তবে, কোলেস্টেরলের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে ডায়াবেটিস, ডেকে আনতে পারে হৃদযন্ত্রের সমস্যাও। উচ্চ কোলেস্টেরলের সঙ্গে এই ধরনের সমস্যা থাকলে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমলে কমতে পারে কোলেস্টেরলের সমস্যা।
খাদ্যাভ্যাস
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে যে, লাল এবং প্রক্রিয়াজাত মাংস এবং বেশি তেল রয়েছে এমন খাবার বাড়িয়ে দেয় কোলেস্টেরলের মাত্রা। উল্টোদিকে কোলেস্টেরল বাগে আনতে খেতে হবে ওট বা কাঠবাদাম। খাওয়া যেতে পারে মাছ। তবে সব কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ খাবারই কিন্তু খারাপ নয়। যেমন ডিমে কোলেস্টেরল বেশি থাকলেও সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান থাকে।
শরীরচর্চার অভাব
আলস্য এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মধ্যে কার্যত একটি চক্রাকার সম্পর্কও রয়েছে। একটি বাড়লে, বৃদ্ধি পাবে অপরটি। নিয়মিত শরীরচর্চা কমাতে পারে কোলেস্টেরলের মাত্রাও। সেই সঙ্গে শরীরচর্চা করলে নিয়ন্ত্রণে থাকে স্থুলতা। শরীরচর্চা বলতে শুধু জিমযাত্রা নয়, নিয়মিত হাঁটা, সাইকেল চালানো এবং সাঁতারের মতো অভ্যাসও সহায়তা করতে পারে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।