দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনি কোলেস্টেরলে আক্রান্ত কি না, তা সব সময় বাইরে থেকে বোঝা যায় না। অনেক দিন ধরেই কোলেস্টেরলের সঙ্গে সহবাস করার পর হয়তো জানা যায়। তবে জিভের কোন লক্ষণ দেখে তা বুঝবেন?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে রোগগুলো বাসা বাঁধে শরীরে, সেই তালিকায় কোলেস্টেরল উপরের দিকেই থাকে। তবে কোলেস্টেরল যে কোনও বয়সেই শরীরে হানা দিতে পারে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরের প্রতি যত্ন না নেওয়া- এমন কিছু কারণে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আপনি কোলেস্টেরলে আক্রান্ত কি-না, তা সব সময় বাইরে থেকে বোঝাও যায় না। অনেক দিন ধরেই কোলেস্টেরলের সঙ্গে সহবাস করার পর হয়তো সেটি জানা যায়। তবে শরীরের কয়েকটি অঙ্গ কিছু ইঙ্গিত দিয়ে থাকে। যেগুলো দেখে খানিকটা হলেও বোঝা সম্ভব যে আপনি কোলেস্টেরলের শিকার হয়েছেন।
‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন মেডিসিন’ নামক মেডিক্যাল পত্রিকায় এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়, জিভের ডগা বেগনি বা নীলাভ বর্ণ হয়ে যাওয়া প্রকৃতপক্ষে কোলেস্টেরলেরই লক্ষণ। মূলত জিভে রক্ত জমাট বেঁধে গিয়ে এমন রং হতে পারে। এটি ঘটে যখন রক্ত কোষগুলোর মাধ্যমে স্বতস্ফূর্তভাবে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারণে রক্ত প্রবাহের গতিও শ্লথ হয়ে পড়ে। জিভের রং বেগুনি হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণও হতে পারে, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণে শরীরে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াটি স্বাভাবিকভাবে হচ্ছে না। যে কারণে শরীরের প্রতিটি কোষে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সরবরাহ করা যায় না।
তবে ঠোঁটের রং বেগুনি যাওয়ার নেপথ্যে যে একমাত্র কোলেস্টেরলের হাতই রয়েছে, তা অবশ্য নয়। আরও বেশ কয়েকটি রোগের লক্ষণও হতে পারে বেগনি রঙের জিভ। মুখের ক্যান্সারের কারণেও এটি হতে পারে। তাছাড়াও, ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও এমন হতে পারে। তবে যে কারণেই হোক জিভের এই লক্ষণ দেখা দিলে এড়িয়ে চলা যাবে না মোটেও। চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।