দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ি পরিষ্কার করার ঝামেলা নিতে চান না অনেকেই। যে কারণে বিভিন্ন সংস্থার উপর দায়িত্ব দেন। এটি যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। অথচ পাখার ব্লেড থেকে জানালা পরিষ্কার করতে পারেন অনায়াসে!
বর্ষা ছাড়া বাকি প্রায় সব সময়ই ধুলোর বাড়বাড়ন্ত থাকে। তাই বাড়িতে পাখা পরিষ্কার করে, তার গায়ে জামা পরানোর রেওয়াজ বহু দিনের। আলমারি কিংবা অন্যান্য আসবাবের গায়ে জামা পরিয়ে রাখা হয় অনেক সময়। তবে পাখা পরিষ্কার করার সমস্যাই হলো পাখার ব্লেডে জমে থাকা ধুলো। পরিষ্কার করতে গেলে সারা ঘরে ছড়ায়, উপর থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো ধুলো চোখে মুখে ঢুকে সে এক কেলেঙ্কারি কাণ্ড ঘটে। তবে হাতের কাছেই এমন কিছু জিনিস রয়েছে, যা দিয়ে কোনও ঝামেলা ছাড়া বাড়ির জিনিস পরিষ্কার করা যায় খুব সহজেই।
তাহলে কোন কোন জিনিস দিয়ে বাড়ির জিনিস পরিষ্কার করা যায়?
বালিশের কভার দিয়ে
বালিশে পরানোর মতো করেই পাখার ব্লেডে ঢাকা নিতে হবে। ওই অবস্থাতেই পাখার ব্লেড পরিষ্কার করে নিন। পাখার ব্লেডে জমে থাকা ধুলো ওই ঢাকার মধ্যেই থেকে যাবে- বাইরে আসবে না। সারা ঘরে, আসবাবপত্রে বা মেঝেতে সেটি ছড়াবে না। চোখে মুখে ঢুকে যাওয়ার ভয়ও থাকবে না।
পুরনো মোজার ব্যবহার
অনেক দিন ব্যবহার না করা একটি মোজা পরতে গিয়ে দেখলেন, তার ‘ইলাস্টিক’ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই বলে মোজাগুলো ফেলে দেবেন? ওই দিয়েই পরিষ্কার করে নিতে পারেন জানালার গরাদ। সমপরিমাণ ভিনিগার ও পানি মিশিয়ে নিয়ে মোজা ভিজিয়েও পরিষ্কার করতে পারেন।
পুরনো মার্কার পেন ব্যবহার
এখন অনেক বাড়িতে কাঠের দু’পাল্লার বদলে, পাশে টানা ‘স্লাইডিং’ জানালা বসানোর চল প্রচলিত। তবে কাচের বা ফাইবারের জানালা পরিষ্কার করা সহজ হলেও তার চ্যানেলে জমে থাকা ধুলো পরিষ্কার করা বেশ কঠিন। মার্কার পেলের কালি শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ই ফেলে দিয়ে থাকি আমরা। ওই পেনের মুখে শুকনো কাপড় দিয়ে খুব সহজেই পরিষ্কার করে ফেলা যাবে জানালার চ্যানেল।
কফি ফিল্টার ব্যবহার
টিভি কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিন পরিষ্কার করতে অনেকেই নরম ‘মাইক্রো ফাইবার’ তোয়ালে ব্যবহার করেন। তবে পরিষ্কার করার পরও স্ক্রিনের গায়ে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম রোঁয়া লেগেই থাকে। তবে ওই তোয়ালের বদলে কফি ফিল্টার পেপার ব্যবহার করতে পারেন। এটি দিয়ে যদি পরিষ্কার করা যায়, তাহলে স্ক্রিন হবে ঝকঝকে, একেবারে নতুনের মতোই।
স্পিরিট ব্যবহার
হাতে থালা নিয়ে খেতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ঝোল পড়ে গেছে? পোশাকে কিংবা কার্পেটে লাগা এমন দাগ, বহু বার কাচার পরও তোলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে একটি জিনিসের কাছে সেই দাগ একেবারেই জব্দ। আর সেটি হলো স্বচ্ছ অ্যালকোহল কিংবা স্পিরিট। এই দ্রবণে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখলেই দাগ একেবারেই উধাও হয়ে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।