দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুগ যুগ ধরে মানুষ যেনো কেবলমাত্র স্বপ্নের পেছোনেই দৌড়াচ্ছে। সেই স্বপ্নই সত্যি করতে মানুষ করে যাচ্ছে অদ্যম প্রচেষ্টা। তারই প্রমাণ দিলেন তামিলনাড়ুর যুবক ভি বুপাঠির কাজে!
বাইক কিনে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সেই যুবক ঠেলাগাড়িতে করে নিয়ে আসেন ২ লক্ষ ৬০ হাজার কয়েন! জানা গেছে, তিন বছর ধরে এক টাকার কয়েন জমাচ্ছিলেন ভি বুপাঠি নামে এক যুবক। সেই টাকা দিয়ে কিনে ফেললেন প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার একটি বাইক! ১ টাকার কয়েনের পাহাড় ভ্যানে বোঝাই করে সেই যুবক নিয়ে আসেন বাইকের দোকানে। এই যুবকের বাইক কেনার গল্প শুনে বিস্মিত হয়েছেন নেটিজেনরা।
২৯ বছর বয়সি ভি বুপাঠি পেশায় একজন কম্পিউটার অপারেটর। তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। ইউটিউব চ্যানেল থেকে তার যে আয় হয়েছিল, তা দিয়েই বাজাজ ডমিনার ৪০০ মডেলের বাইক কিনেছেন এই যুবক।
এই যুবকের গল্পের ভিডিও নেটদুনিয়ায় শেয়ার হতেই হৈ চৈ পড়ে যায় পুরো নেটদুনিয়ায়। এখন প্রশ্ন ওঠেছে এতো ১ টাকার কয়েন কোথায় পেলেন ওই যুবক?
এর উত্তরে ভি বুপাঠি জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা খুচরা করে নিতেন তিনি। মন্দির, চায়ের দোকান, হোটেল- কোনও জায়গাই বাদ দেননি তিনি। শেষমেশ ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জমিয়ে ছিলেন মাত্র তিন বছরে। সেই জমানো কয়েন নিয়েই বাইকের দোকানে হাজির হন এই যুবক, তার সঙ্গে ছিলেন চার বন্ধু।
বাইকের দোকানের সামনে পৌঁছাতেই, তা দেখে হতবাক হন সবাই। এতো কয়েন গোনা কী সহজ কথা? সেই কথা ভেবেই দোকানের ম্যানেজার প্রথমে সাফ জানিয়ে দেন যে, এইভাবে বাইক বিক্রি করা যাবে না।
তবে ভি বুপাঠির ইচ্ছার কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত রাজি হন তিনি। শুরু হয়ে যায় পাহাড়প্রমাণ কয়েন গোনার কাজ। দোকানের পাঁচ কর্মী ও বুপাঠি এবং তার বন্ধুরা সকলে মিলে টাকা গুনতে শুরু করেন। রাত ৯ টার সময় শেষ হয় সেই কয়েন গোনা। ১০ ঘণ্টা পর বুপাঠির হাতে আসে সেই বহুল প্রতীক্ষিত বাইক!
নতুন বাইক পেয়ে বুপাঠি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ইচ্ছে ছিল এই বাইকটি কেনার। তবে সেই সময় এতো টাকা ছিলই না আমার কাছে। তাই এতো দিন ধরে টাকা জমিয়ে বাইক কিনেছি।”
এই বিষয়ে বাইকের দোকানের ম্যানেজার বলেছেন, “২ হাজার টাকার নোটে যদি ১ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া যায়, তাহলে শুধুমাত্র টাকা গোনার জন্য আলাদা করে দিতে হয় ১৪০ টাকা। ২ লক্ষ ৬০ হাজার কয়েন দিলে ভাবুন ব্যাংক তাহলে কী বলবে?”
তবে এই পাহাড়সম এক টাকার কয়েন নিয়ে সেই দোকানে যুবকটি এলেও তাকে বিমুখ করেননি সংশ্লিষ্ট দোকানের ম্যানেজার বাবু। যুবকটির বাইকের প্রতি ভালোবাসাই মোহিত করেছিল ওই ম্যানেজারকে। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English