দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চল্লিশ পেরিয়ে গেলে শরীরচর্চার উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়মও। কারণ নিয়ম না মানলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বাঙালি জীবনে অতি পরিচিত একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে, ‘চল্লিশ পেরোলেই চালশে’। তাহলে কী সত্যিই তাই? এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বয়সের কথা না ভেবে চল্লিশের পর বরং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপরই বেশি জোর দেওয়া দরকার। স্বাস্থ্যের কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে নিয়মিত শরীরচর্চার বিষয়টি। নিয়মিত শরীরচর্চা শরীরকে রোগমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে। আবার সহায়তা করে ওজন কমাতেও। তবে চল্লিশ পেরিয়ে যাওয়ার পরও শরীরচর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
সঠিকভাবে শুরু ও শেষ করা
শরীরচর্চা করার পূর্বে এবং পরে শরীরকে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ করে দিন। শুরুর পূর্বে খালি হাতে অল্প ব্যায়াম করে নিলে শরীরের উষ্ণতা শরীরচর্চার জন্য উপযুক্ত হয়। সেই সঙ্গে মূল ব্যায়াম শেষ হয়ে গেলে কুল ডাউন করলে পেশির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
হঠাৎ করেই এক এক ধরনের শরীরচর্চা নয়। শরীরচর্চা করতে হবে নিয়ম মেনেই। ৪০ পেরিয়ে গেলে শরীরে ক্লান্তি আসাটাই স্বাভাবিক। তবে প্রতিদিন নিয়ম মেনে এক ধরনের ব্যায়াম করলে তখন শরীরও ধীরে ধীরে মানিয়ে নেবে।
ধৈর্যই আসল বিষয়
চল্লিশ পেরিয়ে যারা শরীরচর্চা শুরু করেছেন, তাদের খুব ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়ায় ভালো। যে কোনও জিনিসের সঙ্গেই তখন মানিয়ে নিতে সময় লাগে শরীরের। তাই প্রথমেই অল্প ব্যায়াম দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় এবং পরিমাণ বাড়াতে হবে।
ব্যায়ামে আনতে হবে বৈচিত্র
প্রতিদিন একই ধরনের ব্যায়াম করলে একঘেয়েমি আসতে পারে। তাই বিভিন্ন রকমের ব্যায়াম করার অভ্যাস করুন। শুধু ব্যায়ামই শরীরচর্চা নয়, নিয়মিত হাঁটা, সাঁতার কাটা এবং সাইকেল চালানোর মতো কাজও দিতে পারে একই ধরনের সুফল।
বিশ্রাম
শুধু শরীরচর্চায় নয়, এর পাশাপাশি শরীরকে দিতে হবে পর্যন্ত বিশ্রাম। বিশেষত চল্লিশের পর পেশী এবং অন্যান্য অঙ্গের কোষের পুনর্গঠনের শক্তি কমে যায়। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না পেলে হিতে বিপরীতও হতে পারে, তাই সবকিছু বুঝে-শুনেই কাজ করতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।