দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ মর্ডান আর্টের ক্ষেত্রে বুঝতে হয় শিল্প কি বলছে, শিল্পী তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের কি বার্তা পাঠাচ্ছেন! তাই কিছু অসাধারণ ছবির বিষয়ে জেনে নিন বিশ্লেষণ ধর্মী এই প্রতিবেদন থেকে।
প্যাকিং ফর দ্যা এপোকেলপ্সিঃ রহস্যোদ্ঘাটন জন্য প্যাকিং এই ছবি দেখে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন আসবেই। ডিজাইনার চিহু চিহি তাঁর এই ছবিতে দেখিয়েছেন কাঁধে কাঁচের ব্যাগে করে একটি জীবিত বৃক্ষ বহন করছে মানুষ এবং তা থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন গ্রহণ করছে। ছবিটি দেখে পদ্ধতিটি বাস্তব বা কার্যকরী ভাবলে ভুল করবেন এটি ক্যাবল একটি উদাহরণ হিসেবে দেখান হয়েছে। যেভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস করা হচ্ছে এবং বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে এ অসাধারণ ছবি তারই প্রতিবাদ স্বরূপ।
প্ল্যাস্টিক ট্যাঙ্কঃ রাস্তায় শিল্পী বশ্য ফাকাটা তাঁর এই প্ল্যাস্টিক ট্যাঙ্ক দিয়ে বর্জ্য সম্পর্কে রাজনৈতিক ভাষ্যকে বুঝাতে চেয়েছেন। তিনি প্ল্যাস্টিক দিয়ে একটা কাঠামোকে মুড়িয়ে ট্যাঙ্ক সদৃশ তৈরি করেন। এ প্রতিকৃতি দিয়ে তিনি রাস্তার পাশে রাখা গাড়ির ক্ষতিকর প্রভাবটিও বুঝাতে চেয়েছেন।
বিচ সাবওয়েঃ কেমন হবে যদি একটি সাবওয়ে বিচে রূপান্তরিত হয়? চিত্র শিল্পী লরি নিক্স সেই ভাবনাটাকেই চিত্রে ফুটিয়ে তুলেছেন।
ওয়েভিং টু স্যাটার্নঃ জুলাই মাসে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জনগণের কাছে তাদের ছবি চেয়েছিল এবং সেই দিন কেসিনি মহাকাশযান পৃথিবীর ছবি নিয়েছিল। কেসিনির পাঠানো সেই পৃথিবীর ছবিতে নিজেদের ছবি দেয়া কিছু মানুষের ছবি সংযুক্ত করে এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
আফটার ফুকুশিমাঃ এ ছবিটি কার্লোস আয়েস্টা এবং গুইলাউমি ব্রেসনের সৃষ্টি! ছবির প্রেক্ষাপট ফুকুশিমাতে পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঘটনার পর সেই শহরের রাস্তায় এক ব্যবসায়ী কিভাবে নিরাপদে রয়েছেন। এ ছবিটি আরও বুজাচ্ছে পারমাণবিক বিপর্যয়ে ব্যবসায়ীরা নিরাপদেই রয়েছেন ক্ষতি সাধারণ মানুষের।
দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন টাইলসঃ এই শিল্প শৈলী তৈরি করতে আর্টিস্ট জেরি গ্রেটজিঙ্গারের সময় লেগেছে ৫০ বছর! তিনি এতে ২৬০০ প্যানেল সংযুক্ত করেন সম্পূর্ণ শিল্পকর্মটি ২,০০০ স্কয়ার ফিট জায়গা জুড়ে রয়েছে। আপনি চাইলে এখান থেকে শিল্পকর্মটি তৈরির দৃশ্য দেখতে পারেন।