দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রাতে ঘুম থেকে হঠাৎ করে উঠার কারণে অনেক সময় স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই স্ট্রোক থেকে আপনি বাঁচবেন কিভাবে সেই বিষয়ে রয়েছে একজন চিকিৎসকের কিছু পরামর্শ।
একজন চিকিৎসক নিজের জীবনের একটি ঘটে যাওয়া ঘটনা উল্লেখ করেছেন। তিনি এই বিষয়ে একটি পরামর্শ দিতে গিয়ে বাস্তব উদাহরণ দেন।
তিনি বলেন, গত মার্চের ৬ তারিখ গভীর রাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছিল! দ্রুত ওঠে বাথরুম সেরে বোতলে পানি খেয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি। তার দুইদিন পর সিমটম শুরু হলে নিউরোসাইন্স হাসপাতালে যাই। করি যথারীতি সিটিস্ক্যান! তাতে ধরা পড়ে মাইনর স্ট্রোক!
যে কারও এমনটি হতে পারে তাই নিজের পরামর্শগুলো মেনে চলুন:
যারা রাতে বা ভোরে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের জন্য চিকিৎসকদের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলো :
# আমরা প্রায় সময় শুনতে পাই একেবারে সুস্থ একজন মানুষ রাতের বেলায় হঠাৎ মারা গেছেন। এটির একটি কারণ হলো রাতে বাথরুমে যাবার জন্য ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমরা তাড়াহুড়ো করে হঠাৎ উঠে দাঁড়িয়ে পড়ি, যা ব্রেইনে রক্তের প্রবাহ হঠাৎ করেই কমিয়ে দেয়। এটা আপনার ইসিজি প্যাটার্ন বদলে দেয়।
হুট্ করে ঘুম হতে উঠেই দাঁড়িয়ে পড়ার কারণে আপনার ব্রেইনে সঠিকভাবে অক্সিজেন পৌছাতে পারে না, যে কারণে হতে পারে হার্ট এ্যাটাকের মতো ঘটনা।
# চিকিৎসকরা ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যাবার আগে সবাইকে অন্তত ‘দেড় মিনিট’ সময় নেওয়ার একটি ফর্মুলা দিয়েছেন।
# এই দেড় মিনিট সময় নেওয়াটা জরুরি কারণ এটা কমিয়ে আনবে আপনার আকস্মিক মৃত্যুর সম্ভাবনা।
# হঠাৎ করে এই উঠে পড়ার সময় এই দেড় মিনিটের ফর্মুলা হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে আমাদের জীবন।
# যখন আপনি ঘুম থেকে উঠবেন, তখন হুট করে না উঠে মিনিমাম ৩০ সেকেন্ড বিছানাতে শুয়ে থাকুন।
# তারপর উঠে বিছানায় বসে থাকুন অন্তত ৩০ সেকেন্ড।
# শেষ ৩০ সেকেন্ড বিছানা থেকে পা নামিয়ে বসুন।
এই দেড় মিনিটের কাজ শেষ হওয়ার পরই আপনার ব্রেইনে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌছাবে যা আপনার হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি একেবারে কমিয়ে আনবে।
খুবই গুরুত্তপূর্ণ এই স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যটি ছড়িয়ে দিন আপনার পরিবার, বন্ধু ও পরিচিত লোকজনের মধ্যে। নিজে এই ফর্মুলাটি মেনে চলুন ও অন্যদেরকেও এটি মানতে বলুন।
মনে রাখবেন যে কোনো বয়সের মানুষের ক্ষেত্রেই এমন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সুতরাং সবাই নিয়মটি এই নির্দেশনাগুলো মানতে চেষ্টা করবেন। তাতে আপনারই উপকার হবে। সূত্র: ফেসবুক ট্রিপস অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।