দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত তিনদিন ধরে যে অবস্থা চলছে ঢাকা নিউমার্কেট এলাকায়। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ নতুন করে ভাবনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
মানুষ কিভাবে এতোটা হিংস্র হতে পারে তা ভেবে পাওয়া যায় না। এই হিংস্র মনোভাবের কারণে একজনের প্রাণ গেছে। আরও একজন মুমূর্ষ অবস্থায় আছেন। আরও বহু আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাইন্স ল্যাবরেটরি মোড় হতে নিউ মার্কেট পর্যন্ত ভাংরি ইটের স্তুপে পরিণত হয়েছে পুরো রাস্তা।
গতকাল সারাদিন চলে সংঘর্ষ। শিক্ষক প্রতিনিধিরা গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে উভয়পক্ষের মাঝে গিয়ে হাজির হন বিষয়টি শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য। কিন্তু ব্যবসায়ীদের ইটপাপাটকেল নিক্ষেপের কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এই সময় দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ।
আজ (বুধবার) ব্যবসায়ীরা সংবাদ সম্মেলন করে এর সমাধান চেয়েছেন। কিন্তু যাদের জীবন গেলো তাদের কী হবে? আমরা কি সারা জীবন এভাবেই সংঘর্ষ আর বিবাদে জড়াবো আর অসময়ে জীবন দিতে হবে কাওকে না কাওকে। এভাবেই কী চলবে?
অনেকেই বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঢাকা কলেজকে এই এলাকা থেকে সরিয়ে নিতে। এটি কোনো সমাধান হতে পারে? একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরাতে বলার অর্থ হলো ‘মাথা ব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলা’র মতো অবস্থা।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ঘটনাটি জাতি গত দুদিন ধরে দেখছে সেটি কারও কাম্য হতে পারে না। কারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেমন অভিযোগ তোলা হয়, তেমনি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। তারা বিশেষ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের দুর্ব্যবহারে বিষয়টি সব সময়ই উঠে আসে। এবার আরও বেশি করে সেই বিষয়টিই উঠে এসেছে। দেশের প্রায় সব সংবাদ মাধ্যম টিভি চ্যানেলগুলো ব্যবসায়ীদেরই দোষারোপ করেছেন। ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলনেও সেই বিষয়টি বার বার উঠেছে। তাদেরকে অবশ্যই সংযত হতে হবে। ছাত্রদের মধ্যে কেও কেও হয়তো উচ্ছৃংখল আচরণ অনেক সময় করেন। তবে সেইসব ছাত্রদেরও সংযত হতে হবে।
সব কথার শেষ কথা হলো, শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়াটা জরুরি। বিগত দুই বছর ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন নি। অথচ এই বছর সব কিছু ঠিক থাকার পরও এমন এক পরিস্থিতিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে উভয় পক্ষ বসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করবেন সেটিই জাতির প্রত্যাশা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।