দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি। তাই আগে থেকেই সতর্ক হতে পারলে বাঁচতে পারে জীবন।
কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেকটা গুপ্ত ঘাতকের মতোই আসে। গভীর না হওয়া পর্যন্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী বুঝে উঠতে পারেন না যে, কতোটা বেড়ে গিয়েছে তার সমস্যা। যে কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই হাজির হয় স্ট্রোক বা হৃদরোগের মতো সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপাতভাবে অদ্ভুত শোনালেও, কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে নাকি তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় ঘ্রাণের মাধ্যমে!
কখনও এমন হয়েছে যে, সবার সঙ্গে বসে রয়েছেন অথচ আচমকাই নাকে ভেসে এলো অদ্ভুত এক গন্ধ, অথচ পার্শ্ববর্তী কেও সেই গন্ধ পেলেন না? এমন অদ্ভুত গন্ধ পাওয়ার উপসর্গটিকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘ফ্যানটসমিয়া’ বা ‘ফ্যান্টম ওডর পারসেপশন’। আমেরিকার ‘ন্যাশনাল হেলথ অ্যাণ্ড নিউট্রিশন’ সমীক্ষা বলছে যে, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন এমন রোগীদের মধ্যে এই উপসর্গটি দেখা দেওয়ার হার, সাধারণ মানুষের তুলনায় ৭৬ শতাংশেরও বেশি। অপরদিকে ‘কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর’ জাতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটি দেখতে পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩ গুণ।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অলফ্যাক্টরি স্নায়ুর সমস্যাই এটির মূল কারণ। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে কোনওভাবে এই সমস্যা দেখা দেয় বলে মত গবেষকদের। ঠিক কী কারণে এমন ঘটে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সুস্থ মানুষদের তুলনায় উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভোগা রোগীদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গটিই অনেক বেশি প্রবল বলেই মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।