দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশসহ জর্দান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভয়ংকর মার্স করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ভাইরাস এর বাহক হিসাবে বাদুড়ের একটি প্রজাতিকে চিহ্নিত করা গেছে।
মার্স করোনা ভাইরাস বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ভাইরাস ভয়ংকর প্রাণঘাতি ভাইরাস। গত বছর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে অন্তত অর্ধশতক মানুষ মারা গেছে। চিকিৎসকরা এর সেবা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নন। এর কোন সঠিক চিকিৎসা কিংবা ব্যবস্থাপত্র বের হয় নি।
এ বছর মধ্যপ্রাচ্যে ৯৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৪৭ জন। শ্বাস প্রশ্বাস জনিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব চলছে গত ১৫ মাস ধরে। সৌদি আরবে বাদুড় এই ভাইরাসের উৎস বলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন। ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. জোনাথন বল বলেন, আমরা অনেক দিন ধরেই ধারণা করছিলাম বাদুড় ই এই ভাইরাস এর বাহক। এখন নিশ্চিত হওয়া গেল। নিপাহ ভাইরাস, সার্স এর মতন অনেক ভাইরাস এর বাহক হচ্ছে বাদুড়।
বাদুড় সাধারণ মানুষকে কামড়ায় না। এগুলো ফল ও অন্য দ্রব্য খেয়ে জীবনধারণ করে। তাই এই সকল খাদ্য ফল থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। এটা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি এ ভাইরাস কী ভাবে মানবদেহে ঢোকে।
বলা হচ্ছে, ভেড়াদের মতো এ বাদুড় পরিত্যক্ত ভবনে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে বাদুড়ের শুকনো বিষ্ঠা থেকে এ ভাইরাস গ্রহণ করে শ্বাস গ্রহণের মধ্য দিয়ে। কিন্তু এটাও সম্ভব যে, কোন প্রাণী এভাবে ভাইরাস গ্রহণ করছে এবং মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে তাতে। বিজ্ঞানীরা সন্দেহ এর তালিকায় উট সহ গোবাদী পশু পাখি, গরু, ছাগল, ভেড়া কোনটিকেই বাদ দেন নি এবং এগুলো থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষা করে দেখছেন।
প্রতিবছর এই হজ্জ মৌসুমে সৌদে আরবে গমন করেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মুসলিমবৃন্দ। মার্স করোনা ভাইরাস এর প্রকোপ দেখা দেয়ার আতংকিত বোধ করছেন অনেকেই। বাংলাদেশ থেকেও বিশাল সংখ্যক মানুষ হজ্জ এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন খুব শিঘ্রই।
তথ্যসূত্র: বিবিসি