দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ যেসব পিতারা দীর্ঘ সময় কাজে ব্যস্ত থাকেন তাদের সন্তান তাদের থেকে বিছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তাদের মাঝে আক্রমণাত্মক এবং অপরাধমূলক আচরণ দেখা দেয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটি দেখা গেছে।
গবেষণায় দেখা যায় যেসকল পিতা সাপ্তাহে ৫৫ ঘন্টার বেশী নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন তাদের সন্তানদের মাঝে আক্রমণাত্মক এবং অপরাধমূলক আচরণ দেখা দেয়। এ গবেষণাটি ১,৪০০ জন শিশুর মাঝে করা হয়। তবে পিতার ব্যস্ততার উপর কন্যার মানসিক তেমন কোন প্রভাব দেখা যায়নি।
গবেষকরা এখন আরও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন পিতার কাজের সময়ের উপর সন্তানের এরূপ প্রভাব পরার কারণ কি এবং একই ক্ষেত্রে ছেলে মেয়েতে আলাদা আচরণ কেন হচ্ছে। এছাড়া গবেষকরা এর প্রতিকার কি হতে পারে তা নিয়েও গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বার্লিনের এক সামাজিক প্রতিষ্ঠান এ গবেষণাটি চালিয়েছে, তবে গবেষণার প্রেক্ষাপট হিসেবে গবেষকরা ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়াকে আদর্শ ধরে নিয়েছেন, যেখানে প্রতি ৫ জনে একজন পিতা সাপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টার বেশী কাজ করেন। তবে জার্মানিতে ২০১১ সালে এক গবেষণায় দেখা যায় ১৫% পিতা যাদের ৩ থেকে ৪ বছরের সন্তান রয়েছে তাঁরা সাপ্তাহে ৫৫ ঘন্টা বার তারও বেশী কাজ করতেন।
অপর দিকে শিশুদের মায়ের কাজের সময়ের উপর শিশুদের মানসিক কোন প্রভাব এই গবেষণায় দেখা যায়নি।
বার্লিন সামাজিক গবেষণা সংস্থার গবেষক ডক্টর জিয়াংজং লি বলেন,” এটা হওয়ার কারণ হচ্ছে পিতা যদি দীর্ঘ সময় নিজের কাজে ব্যস্ত থাকেন তবে তিনি তাঁর সন্তানকে দেখাশোনা করতে পারেন না ফলে শিশুদের মাঝে নানান সমস্যা দেখা দেয়। পিতার সম্পর্কে শিশুদের আলাদা একটা ধারণা থাকে যা এক্ষেত্রে ভিন্ন অর্থে ব্যবহার হয়।“
তিনি আরও বলেন, “মেয়ে শিশু অপেক্ষা ছেলে শিশু পিতার মনিটরিং না পেলে আক্রমণাত্মক এবং অপরাধমূলক আচরণ করার ক্ষেত্রে বেশী ঝুঁকি পূর্ণ।“
গবেষণায় ১,৪০০ শিশুর উপর বিশেষ খেয়াল রাখা হয় বিশেষ করে যখন তাঁরা ৫, ৮, ১০ বছর বয়সের হয়।
ডক্টর লি বলেন, “ সম্প্রতি সময় গুলতে সন্তান ও পিতা একে অপরকে সময় দিচ্ছে আগের চেয়ে বেশী। তবে পিতা পুত্রের একে অপরকে সময় দেয়ার বিষয়টি এখনো পর্যাপ্ত নয়।
এদিকে এই গবেষণা জনগণের আগের যে ধারণা ছিল মাতা সন্তানদের সময় না দিয়ে বাইরে চাকরী করলে সন্তান মানুষ হবেনা সেটিকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে সন্তান লালন পালন এবং তাদের চরিত্র গঠনে পিতা-মাতার সমান দায়িত্ব রয়েছে।
সূত্রঃ দি ডেলি মেইল।