দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেরই ধারণা যে, তরমুজ খেলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ আরও বাড়তে পারে। কখন ও কী পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেই বিষয়টি নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।
ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া-দাওয়ায় অনেক কিছুতেই বিধিনিষেধ চলে আসে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাওয়া-দাওয়ার প্রতিও বিশেষ নজর দিতে হয়। চিকিৎসকরা সব সময় ডায়াবেটিক রোগীদের বেশি করে ফল এবং শাক-সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ হলো তাতে রক্তে শকর্রার মাত্রা সঠিক মাত্রায় থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ফল মানেই যে স্বাস্থ্যকর এমন কিন্তু নয়। কারণ ফলের মধ্যেও রয়েছে প্রাকৃতিক শর্করা ও কার্বোহাইড্রেট। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিটি খাবারেই ভারসাম্য রাখা দরকার।
বর্তমান সময় গরম হওয়াতে বাজারে আম, তরমুজ, লিচু, জামরুলের মতো বিভিন্ন রকমারি ফলে বাজার যেনো ছেঁয়ে গেছে। তবে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা অনেকেই রক্তে শকর্রার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তরমুজ একেবারেই খান না।
মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা কতোটা নিয়ন্ত্রণে থাকবে তা নির্ভর করে খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রার উপর। সহজ কথায় বলতে গেলে খাবারে গ্লাইসেমিক সূচক যতোটা কম হবে, ততোই ধীরে ধীরে এটি রক্তে শোষিত হবে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রা ০ হতে ১০০ পর্যন্ত হয়। জিআই-এর মাত্রা যতোটা বেশি হবে চিনিও রক্তে ততোই দ্রুত প্রবেশ করবে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট সমৃদ্ধ তরমুজে বেশির ভাগই থাকে পানি। ১২০ গ্রাম তরমুজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে প্রায় ৫। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিশ্চিন্তেই তরমুজ খেতে পারেন। তবে একবারেই বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না। কয়েক টুকরো খেতেই পারেন। তবে তরমুজের সঙ্গে অন্য কোনও খাবার না খাওয়াই ভালো। দিনেরবেলা খেলেও রাতে তরমুজ এড়িয়ে চলায় ভালো। সবচেয়ে ভােলো হয় সকালে যদি নাস্তার সঙ্গে তরমুজ খেয়ে নেন। তাহলে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।