দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি কাপড় কাঁচা, বাসন ধোয়া, রান্না করার মতো কিছু কাজ করার পর দেখা যায় চামড়া কুঁচকে যায়। কিন্তু কেনো এমনটি হয়?
অনেক সময় বাড়ির কাজ করতে গিয়ে একটু বেশি সময় ধরে পানি ঘাঁটতেই হয়। নতুন কোনও ব্যাপার এটি নয়। কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া, রান্না করার মতো কিছু কাজ করার পর খেয়াল করলে দেখা যাবে চামড়া কুঁচকে গেছে। অনেকক্ষণ ধরে গোসল করলে কিংবা সুইমিং পুলে অনেক সময় কাটালেও হাত-পায়ের চামড়া কুঁচকে যেতে দেখা যায়।
মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের শৈলী একেবারেই পৃথক ধরনের। মুখের চামড়া পাতলা, সেই তুলনায় হাত এবং পায়ের তলার চামড়া আবার অনেক পুরু। পানির তলায় বহুক্ষণ থাকলে কিংবা পানি ঘাঁটলেও হাত-পায়ের চামড়া সামান্য হলেও কুঁচকে যেতে পারে। এর কারণ হলো চামড়ার উপরে একটা তৈলাক্ত অংশ থাকে যাকে বলে সিবাম।
হাত-পায়ের চামড়া সে কারণে টানটান এবং শুষ্ক দেখায়। তবে দীর্ঘক্ষণ পানি থাকার কারণে সেই চামড়ার উপর থাকা সেই তৈলাক্ত আচ্ছাদন ধীরে ধীরে সরে যেতে থাকে। যে কারণে পানির সংস্পর্শে এসে চামড়া কুঁচকে যায়। এরপর আবার যখন হাত-পায়ের চামড়া পানির সংস্পর্শ থেকে সরে আসে, তখন সেটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।