দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই গ্রিন টি খেয়েও ওজন কমাতে পারেন না। অনেকের জানা নেই গ্রিন টি কীভাবে খাওয়া উচিত, এতে কী কী উপকার তার স্পষ্ট ধারণাও নেই। তাই এটি খাওয়ার সঠিক কৌশল জানা দরকার।
ওজন ঝরাতে প্রতিদিনের ডায়েটে ইদানীং অনেকেই গ্রিন টি-র উপর ভরসা করেন। এই চা বিপাক হার বাড়িয়ে দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এটি পলিফেনল এবং ফ্লাভেনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে পরিপূর্ণ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
মাত্রাতিরিক্ত গ্রিন টি পান করা যেমন ঠিক না, তেমনই আবার খালি পেটে ঘুম থেকে উঠেও গ্রিন টি, বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গ্রিন টি পান করাও মোটেও স্বাস্থ্যকর বিষয় নয়।
তাই এই চা খাওয়ার সময় নিয়ম মেনে চললে ভালো ফল পাবেন। জেনে নিন এই চা খাওয়ার সময় ঠিক কোন কোন নিয়ম মেনে চলা দরকার।
# অনেকেই মনে করেন যে, ভরপেট খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রিন টি খেলে যতোটা ক্যালোরি শরীরে যায়, তার অনেকটা নাকি ঝরে য়ায়। তবে এই ধারণা মোটেও ঠিক নয়। খাদ্য উপাদান, বিশেষ করে প্রোটিন পরিপাক করার জন্য শরীরের একটা নির্দিষ্ট সময়ও লাগে। সেই সময়টা শরীরকে দিতেই হবে। গ্রিন টি এই প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে থাকে। তাই খাওয়ার পরে পরই এই চা না খাওয়াই ভালো।
# সকালে খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। খালি পেটে এই চা খেলে পাকস্থলীতে অ্যাসিডের মাত্রা আরও বেড়ে যায়, যে কারণে হজমে গন্ডগোল হয়। তাই সকালে হালকা কিছু খেয়ে তার পরই এই চা খেতে পারেন।
# সকালে চা খাওয়ার পর অনেকেই ওষুধ খান। গ্রিন টি খাওয়ার পর এই কাজটি ভুলেও করবেন না। ওষুধের মধ্যে থাকা রাসায়নিক যৌগ গ্রিন টি-র সঙ্গে বিক্রিয়া করে বদহজমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
# অফিসে বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োতে গ্রিন টি-তে চুমুক দিলে কোনোই লাভ হয় না। আয়েশ করে ধীরে ধীরে এই চা খেলে তাহলে বিপাক হার বাড়বে।
# গ্রিন টি খাওয়ার সময় তাপমাত্রা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব গরম কিংবা একদম ঠাণ্ডা চা খেলে উপকার পাওয়া যায় না। তাই পুষ্টিবিদরা এই চা খাওয়ার সময় ঈষদুষ্ণ পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
Bengali 
English