দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনায় ৫ ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪ শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সর্মীরাও রয়েছেন। ২১ ফায়ারসার্ভিস কর্মী ও ১০ পুলিশ সদস্য আহত।
গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কন্টেইনার ডিপোতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৪টি ইউনিট।
এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত রোগীর চাপে ওয়ার্ড ছাড়াও হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও নগরীর অন্যান্য হাসপাতাল এবং কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক অবস্থার অবতারণা ঘটে। একের পর এক আহতদের নিয়ে আসতে থাকে এ্যাম্বুলেন্স, সিএনজি ও প্রাইভেট কার। এই সময় টিভিতে বার বার ঘোষণা দেওয়া হয় আহতদের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিত হওয়ার জন্য।
এই বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করেছি আহত দেড়শ জনের মতো হবে। তবে আহত আরও অনেক বেশি। এখানে অনেক চিকিৎসক ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছেন। আমরা অন্যদেরও আসার আহ্বান জানিয়েছি। হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স রোগীদের সেবায় নিয়োজিত আছেন। আমরা ভিড় কমিয়ে শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি।
ঘটনা সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, আগুন লাগার পর কনটেইনার বিস্ফোরণ ঘটে। যে কারণে সেখানে থাকা ক্যামিক্যালের প্রভাবে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে এই সময় অন্তত ৫০ হাজার কনটেইনার ছিল।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, শনিবার রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায়। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ৮টি ইউনিট ও পরবর্তীতে আরও ১৬টি ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে আশেপাশের অন্তত চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে ওঠে, আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাঁচও ভেঙে পড়ে বলে এলাকাবাসী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুন নিয়ন্ত্রনের জন্য ঘটনা স্থলে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর একটি দল।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।