দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি পুরো জাতিকে নাড়া দিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন এসেছে এটি নিছক অগ্নিকাণ্ড নাকি কোনো ষড়যন্ত্রের নাশকতা?
আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে কোনো হরতাল-ধর্মঘট নেই। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক। যে কারণে উৎপাদন ক্ষমতাও আগের থেকে বেড়েছে। সামনেই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। যে কারণে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় যেমন আমুল পরিবর্তন ঘটবে, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিও ঘটবে। মেট্রোরেলও উদ্বোধনের পর্যায়ে রয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। দেশ এগিয়ে যাওয়ায় দেশী-বিদেশী যড়যন্ত্র মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
গত পরশু ঘটে যাওয়া চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে তাই নানা প্রশ্ন দানা বেঁধেছে। নিছক দুর্ঘটনাবশত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সেটিতে বলার কিছুই থাকে না। তবে যদি কোনো বিদেশী ষড়যন্ত্র থেকে থাকে তাহলে তার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ঘটনার পর সাংবাদিকদের এক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীও যড়যন্ত্রের আশংকা প্রকাশ করেছেন।
অতিত ইতিহাস থেকে আমরা দেখেছি যে, আমাদের দেশ যখন এগিয়ে যায়। নানা ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটে, তখন দেশী-বিদেশী নানা ষড়যন্ত্র মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এবারও তেমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না তা ক্ষতিয়ে দেখা দরকার।
চট্টগ্রামের গত পরশুর ঘটনাটি আমাদের সকলকে হতভম্ব করেছে। তাছাড়া আগুন নেভাতে গিয়ে ৯ জন ফায়ার ফাইটার প্রাণ দেওয়ার ঘটনাও আমাদের দেশের ইতিহাসে আগে কখনও ঘটেনি। এ পর্যন্ত মোট ৪৯ জনের প্রাণ গেছে এই ঘটনায়। গত দুদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যেনো এক বিভৎস মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়। আহত ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে হাসপাতালটি। একের পর এক আহতদের নিয়ে আসা হয়। এখনও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বজনদের ভিড় লেগেই আছে। নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে ভিড় করছেন সবাই। তবে আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণে যেসব লাশ এখন শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, সেগুলোর নমুনা নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। স্বজনদের ডিএনএ নিয়ে তারপর পরিচয় শনাক্ত করা হবে।
এদিকে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত কমিটিগুলো তাদের তদন্ত শুরু করবে। তবে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তদন্ত শুরু করতে সময় লাগছে।
এই ঘটনায় জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু দিন গতকালই শোক প্রস্তাব আনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন তুলে অধিকতর তদন্তের কথা বলা হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় উদ্বীগ্ন পুরো জাতিই এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়েছে। এই ঘটনায় যে বা যাদের গাফিলতি ছিলো তাও ক্ষতিয়ে দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।