দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রান্নার কয়েক ঘণ্টা পরই খাবারের পুষ্টি উপাদান ফুরিয়ে যেতে শুরু করে দেয়। দিনের বেলায় অবশিষ্ট খাবার পুনরায় গরম করলে ফুড পয়জনিং ও পেট সংক্রান্ত অনেক রোগ হতে পারে। তাই আজ জেনে নিন কতোক্ষণ খাবার ভালো রাখা যায়।
সুস্থ থাকার জন্য টাটকা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এখনকার লাইফস্টাইলে সময়ের অভাব হওয়ার কারণে, বেশিরভাগ মানুষ একসঙ্গে অনেকটা খাবার তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দেন। যেহেতু প্রত্যেকেরই খাবারের চরিত্র আলাদা তাই সেগুলো সংরক্ষণ করাও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই অনেক্ই তাদের পেট ভরার জন্য খাবার খান, আবার কেও কেও তাদের মন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত খাবার খেতেই থাকেন। এটা করলে স্বাস্থ্য অনেক রোগের বাসাও হয়ে যেতে পারে। সুস্থ শরীরের জন্য, সঠিক পরিমাণে ও সঠিক উপায়ে সঠিক খাদ্য খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
সাধারণভাবে তেল, পানি ও মশলায় রান্না করা খাবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নষ্ট হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ভালোভাবে রাখলে এক দিনের বেশি সংরক্ষণও করা যায়। দেখে নিন সেগুলো কী কী।
সংরক্ষিত কাটা ফল খাওয়া যাবে না:
সাধারণত তাজা ফল কাঁচা খাওয়া হয়ে তাকে, ফল কাটার সঙ্গে সঙ্গে তাদের এনজাইমেটিক প্রতিক্রিয়াও শুরু হয় ও সে কারণেই ফলগুলি খুব দ্রুত কালো হয়ে যায়। যে ফলগুলোতে পানি থাকে সেগুলো কম পানিে অন্যান্য ফলের তুলনায় দ্রুত পচে যেতে পারে। নিশ্চিত করতে হতে যাতে করে আপনি একটি বায়ুরোধী পাত্রে ফল হিমায়িত করতে পারেন এবং তারপর সেগুলো ব্যবহার করুন। তবে কাটা ফল ফ্রিজে রেখে একদিনের বেশি ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়।
রুটি
সংরক্ষণকারী উপাদান থাকার কারণে পাউরুটি ৫ থেকে ৬ দিনও স্থায়ী হতে পারে। সেখানে ঘরে তৈরি রুটি মাত্র ৩ থেকে ৪ দিনের জন্য তাজা থাকে। তাছাড়াও তাপমাত্রার কারণে এর সতেজতাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২৪ ঘন্টা পরেও ভাত টাটকা থাকে যেভাবে
লোকেরা প্রায়শই অবশিষ্ট ভাত গরম করার পরে খান। তবে আপনি কী জানেন? ধানের শীষে ব্যাসিলাস সিরিয়াসের চিহ্ন রয়েছে? যা টক্সিন তৈরি করতে পারে, যা খাদ্যজনিত অসুস্থতার কারণও হতে পারে। তাই অবশিষ্ট ভাত ফ্রিজে রেখে সর্বোচ্চ ২ দিন খেতে পারেন।
দুগ্ধজাত খাবার তৈলাক্ত খাবার দ্রুত নষ্ট হতে পারে
রান্না করা শাক-সবজির পরিপ্রেক্ষিতে, আপনি যদি নাড়াচাড়া করে কিংবা ভাজতে পারেন ও একটি বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করেন তাহলে ৫ থেকে ৬ দিনের জন্য সতেজতা ধরে রাখা সম্ভব হবে। খাবারে যোগ করা উপাদান যেমন পেঁয়াজ, তরল উপাদান কিংবা দুগ্ধজাত খাবার খুব সহজেই নষ্ট করে দিতে পারে, তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন।
আমিষ জাতীয় খাবার কখনও বেশি গরম করবেন না
মুরগি ও ডিম প্রোটিনের উৎস হিসাবে বিবেচিত হয়ে তাকে। তবে বাসি আমিষ জাতীয় খাবার যদি আবার গরম করার পর খাওয়া যায়, তাহলে খাদ্যে বিষক্রিয়া ও হজমের সমস্যাও হতে পারে।
বাসি খাবার খাওয়ার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হতে পারে?
# ফুড পয়জনিং
# বমি
# ডায়েরিয়া
# পেটের রোগ
মনে রাখবেন রান্না করা খাবার সঙ্গে সঙ্গে উনুন থেকে নামিয়ে ফ্রিজে রাখতে কখনও ভুল করবেন না। সে কারণে খাবারে ব্যাকটেরিয়া বহুগুণে বেড়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় খাবারটি ঘরের তাপমাত্রায় আসলে তারপরই ফ্রিজে রাখুন।
সতর্কতা: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্যই প্রযোজ্য। এটি কোনওভাবেই কোনও ওষুধ কিংবা চিকিৎসার বিকল্পও হতে পারে না। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।