দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আবারও জার্মানিতে করোনার নতুন ঢেউ আঘাত হেনেছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাচ গত বুধবার (১৬ জুন) এ কথা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের তিনি চতুর্থ দফার টিকা দ্রুত নেওয়ারও আহ্বান জানান।
দৈনিক রাইনিশ পোস্ট’কে তিনি জানান, গ্রীষ্মে করোনা সংক্রমণ বাড়বে বলে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল তা এখন সত্যিই বাস্তবে রূপ নিয়েছে। ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে খ্যাত জার্মানিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সংক্রমণ কমে আসছিল। তবে নতুন করে বর্তমানে তা আবারও উর্ধ্বমুখী।
এর কারণ হিসেবে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ছে ও করোনা প্রতিরোধকল্পে নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি সংক্রমণ প্রতিরোধে আবারও ঘরের ভেতরেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হিসেবে ঘোষণা দেন।
জার্মানিতে গত ৭ দিনে অর্থাৎ বুধবার পর্যন্ত প্রতি লাখে সংক্রমণ ৪৭২.৪ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। জামানিতে কর্তৃপক্ষ মার্চ হতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপসমূহও শিথিল করেছিলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।