দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাছের তেল দিয়ে আমরা অনেক কিছুই করে থাকি। পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে একঘেয়ে মাছের তেল ভাজা ছাড়া অন্য কিছু খেতে চাইলেও বানাতে পারেন মাছের তেল চচ্চড়ি।
ভোজনরসিক বাঙালির মৎস্যপ্রেম চিরদিনের। উৎসব অনুষ্ঠান, বাড়িতে দুপুর কিংবা রাতের খাওয়ার পাতে মাছ না থাকলে ভোজটাই যেনো একেবারে অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাঙালি শুধু মাছ খেতেই নয়, কিনতেও ভালোবাসে। সে কারণেই আমরা বলে থাকি, ‘মাছে ভাতে বাঙালি’। মাছের বাজারদর যতোই উপরের দিকে চড়ুক না কেনো মাছের বাজারের বাঙালির ভিড় কিন্তু কমতি নেই। মাছ থেকে মাছের তেল- সব নিয়ে তবেই বাড়ি ফেরা। প্রথম পাতে মাছের তেলে থাকলে পুরোটাই জমে যায়। তবে শরীরের জন্যেও বেশ উপকারী মাছের তেল। অনেকেই বিভিন্নভাবে রাঁধেন। তবে মাছের তেল দিয়ে একেবারে নতুন কিছু বানাতে চাইলে বানিয়ে নিতে পারেন মাছের তেল চচ্চড়ি। আজ দেখে নিন এই তেল চচ্চড়ি বানানোর প্রণালী।
উপকরণ:
মাছের তেল- ২০০ গ্রাম।
সরু করে কাটা বেগুন : ২ কাপ।
লম্বা করে কাটা আলু : ২ কাপ।
পেঁয়াজ কুচি : ১ কাপ।
রসুন বাটা : ২ টেবিল চামচ।
কাঁচা মরিচ বাটা : ২ চা চামচ।
হলুদ গুঁড়া : আধা চা চামচ।
মরিচ গুঁড়া : ১ চা চামচ।
এলাচ ও দারচিনি বাটা : ১ চা চামচ।
সর্ষের তেল : পরিমাণ মতো।
লবণ: স্বাদ মতো।
প্রস্তুত প্রণালী:
মাছের তেল পরিষ্কার করে ধুয়ে তাতে লবণ ও মরিচের গুঁড়া মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এখন গ্যাসে কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মতো সর্ষের তেল দিয়ে দিন। তেল গরম হয়ে এলেই মাছের তেল দিয়ে তা ঢেকে দিন। মিনিট তিনেক পর ঢাকনা খুলে পেঁয়াজকুচি, আলু, বেগুন, টম্যাটো দিয়ে আবার নাড়তে থাকুন।
কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়ে তাতে রসুন বাটা, কাঁচামরিচ বাটা, এলাচ এবং দারচিনি বাটা দিয়ে ভালো করে কষাতে থাকুন।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে হলুদ, মরিচ গুঁড়া এবং স্বাদ মতো লবণ দিয়ে আবার কষাতে থাকুন। কাঁচা মশলার গন্ধ কেটে গেলেই অল্প পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।
পানি শুকিয়ে গেলে উপর থেকে ধনেপাতা ছড়িয়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই মাছের তেলের চচ্চড়ি। এটি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।