দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কী ধরনের খাবারে আপনার সন্তান সুস্থ থাকবে তা অনেকেই বুঝে উঠতে পারেন না। তবে পুষ্টিবিদরা ‘জিবিওএমবিএস’ তালিকা মেনে খাওয়ানোর কথা বলছেন। তাহলে কী এই ‘জিবিওএমবিএস’?
সন্তানকে সুস্থ রাখতে হলে ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা দরকার। পর্যাপ্ত পুষ্টি শিশুর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি বু্দ্ধির বিকাশেও সমানভাবে সাহায্য করে থাকে। সন্তানকে সুস্থ-সবল রাখতে হলে তাদের প্রতিদিন পাতে পুষ্টিকর খাবার রাখা দরকার। ভাত, ডাল, শাকসব্জি, ফলের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে মোটেও পছন্দ করে না শিশুরা। বরং চিপ্স, চকোলেট, বার্গার, পিৎজা, কোল্ড ড্রিংক- এই ধরনের ‘জাঙ্কফুড’ খেতেই তারা বেশি পছন্দ করে। কিন্তু নিয়মিতভাবে এই ধরনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস শিশুর স্বাস্থ্যহানির কারণও হতে পারে। ছোট থেকেই যদি শারীরিক গঠন ও প্রতিরোধ ক্ষমতা মজবুত না হয় তাহলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কাও থাকে। সেজন্য আপনার শিশুকে সুস্থ, চনমনে রাখতে তাদের খাওয়া-দাওয়ার দিকে ভালোভাবে নজর দেওয়া দরকার। কোন কোন খাবার থেকে শিশুরা সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পেতে পারে, অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। এর সহজ সমাধান দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। শিশুদেরদের সুস্থ রাখতে খাদ্যতালিকা মেনে চলতে বলেছেন।
জি
জি-এর অর্থ হলো গ্রিন। অর্থাৎ সবুজ শাক-সব্জির কথা বলা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সব্জি শিশুদের বেশি করে খাওয়ানোর কথা বলেছেন। এতে শিশুকে সুস্থ এবং ফিট রাখার সঙ্গে সঙ্গে বয়সকালেও ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো অসুখের আশঙ্কাও হ্রাস করবে।
বি
বি-এর অর্থ হলো বিন্স। শরীরে যত্ন নিতে একটি অপরিহার্য সব্জি হলো এই বিন্স। শিশুরা বিন্স খেতে খুব একটা পছন্দ করে না। ভিটামিন এবং বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান সমৃদ্ধ বিন্স শিশুদের বেশি করে খাওয়ানোর কথা বলেছেন পুষ্টিবিদরা।
ও
ও-এর অর্থ হলো ‘অনিয়ন’। কাঁচা পেঁয়াজ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে কার্যকর। রান্নায় বেশি পেঁয়াজ না ব্যবহার করে বাচ্চাকে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে।
এম
এম-এর অর্থ হলো মাশরুম। এমনিতেই মাশরুম অত্যন্ত উপকারী খাবার। শিশুদের জন্য এটি আরও বেশি করে স্বাস্থ্যকর। শিশুর প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারেন এই মাশরুম।
বি
বি-এর অর্থ হলো বেরি। বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করতে বেরি জাতীয় ফল দারুণভাবে কার্যকরি। মরসুমি ফলের পাশাপাশি শিশুর প্রতিদিনের খাবারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি জাতীয় কিছু ফল।
সি
সি-এর অর্থ হলো সিডস্। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস, মিনারেলস, চিয়া বীজ, ফাইবার সমদ্ধ ফ্ল্যাক্স বীজ, তিসির বীজ শিশুর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।