দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজ জানবো পার্কিনসন্স রোগ সম্পর্কে। পার্কিনসন্স রোগ মূলত স্নায়ুর রোগ। দূষণ, টক্সিন জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণই এই রোগের মূল কারণ। ঝুঁকি এড়াতে এই রোগের উপসর্গগুলি জেনে রাখুন।
একজন মানুষের বয়স ৬০ পেরিয়ে যাওয়ার পরই মূলত ডিমেনশিয়া, পার্কিনসন্সের মতো রোগের শিকার হন অনেকেই। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখন কমবয়সিদের মধ্যেও পার্কিনসন্স দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, খাবারে টক্সিনের উপস্থিতি ও জিনঘটিত কারণে পার্কিনসন্সের মতো রোগের শিকার হতে হচ্ছে অনেককেই। এটি মূলত এক ধরনের স্নায়ুর অসুখ। এই রোগে স্নায়ুকোষ কিংবা নিউরোন মারা যেতে পারে। যে কারণে ব্যাহত হয় স্নায়ুবিক কার্যকলাপ, নড়াচড়ার উপর ক্রমেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন এই রোগে আক্রান্ত রোগী। প্রাথমিকভাবে ওষুধের মাধ্যমে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় কখনও সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে রোগীর হাত-পায়ে অনিচ্ছাকৃত কম্পন দেখা দেওয়া, হাঁটাচলা শ্লথ হয়ে আসা, পেশি ক্রমশ শক্ত হয়ে আসা, কথা বলার সময় কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলো পার্কিনসন্সের প্রাথমিক কয়েকটি উপসর্গ। তাছাড়াও পায়ের কয়েকটি উপসর্গও বলে দেবে আপনি পার্কিনসন্সের শিকার হয়েছেন কি না। যেমন- পায়ের পেশিতে হঠাৎ করে টান ধরা, পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, গোড়ালি ফুলে যাওয়ার মতো কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এগুলো ছাড়াও চিকিৎসকরা পার্কিনসন্সের অন্য নতুন কয়েকটি উপসর্গের কথাও উল্লেখ করেছেন।
চিকিৎসকরা বলেছেন, পার্কিনসন্স রোগ নড়াচড়া করার ক্ষমতাও কেড়ে নিতে পারে। পার্কিনসন্সে আক্রান্ত হলে হাঁটার সময় শরীর সামনের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। এই রোগের শুরুর দিকে শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের দু’দিকই অবশ হয়ে যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।