দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলে অ্যানিমিয়া, ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন লক্ষণ দেখলে আপনি সতর্ক হবেন? বিষয়টি আজ জেনে নিন।
ভিটামিন বি১২ হলো দেহের জন্য অপরিহার্য উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম। যারা নিরামিষ খেয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে এই ভিটামিনের ঘাটতি খুব বেশি দেখা যায়। এই ভিটামিন নানাবিধ অসুখকে ঠেকিয়ে রাখে। শরীরে ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি তৈরি হলে অ্যানিমিয়া, ডায়েরিয়া, পেপটিক আলসার, কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এই ভিটামিন মানসিক অবসাদ কমায়, চুল, নখ এবং ত্বক ভালো রাখে, হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতেও সাহায্য করে।
এই ভিটমিনের অভাবে শরীরে বেশ কিছু উপসর্গও দেখা দিতে পারে। যেমন-
# ভিটামিন বি১২ সাধারণভাবে শরীরে স্নায়ুর কার্যকারিতা বাড়ায়। তাই এই ভিটামিনের ঘাটতি হলে পায়ে ঝিঁঝি ধরার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকলে অনেকেরই পা অসাড় হয়ে যায়, এটিও শরীরে বি১২ ভিটামিনের ঘাটতিরই লক্ষণ।
# শরীরে ক্লান্তিভাব দেখা দেয়, যে কোনও কাজ করার প্রতি অনীহাও এই ভিটামিনের অভাবের কারণে হতে পারে।
# তাছাড়াও নি:শ্বাস নিতে সমস্যা, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া এমনকি হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে এই সব সমস্যা ভিটামিন বি১২ এর অভাবেরই লক্ষণ।
নিরামিষ খেলে এই ভিটামিনের পরিমাণ কিছুটা হলেও কম থাকে। তাছাড়া প্রাণিজ খাবারে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে ভিটামিন বি১২ থাকে। ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস এবং মেটে, সামুদ্রিক মাছের মতো খাবার ভিটামিন বি১২-এর সমৃদ্ধই উৎস। তাছাড়াও আরও কয়েকটি খাবারেও ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়। যারা নিরামিষ খান তারাও এগুলো অনায়াসে খেতে পারেন। যেমন- প্রাণিজ প্রোটিনের মধ্যে রয়েছে রেড মিট, মুরগির মাংস, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, দই, দুধের ছানা এবং ডিমে প্রচুর মাত্রায় এই ভিটামিনটি পাওয়া যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।