দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কিছু কিছু অভিভাবকরা মনে করেন যে, তারা তাদের সন্তানদের লালনপালনের বিষয়ে যা করছেন তা একেবারেই সঠিক। যে কারণে অজান্তেই কিছু ভুল করে বসেন। যার মাশুল শেষ পর্যন্ত তাদেরকেই দিতে হয়।
সন্তা বড় করে তুলতে গেলে যে কারোরই ভুল হতে পারে, তারা সঠিক কাজ করছে, নাকি ভুল পথে এগুচ্ছে তা দেখতে হলে আগে ধাপে ধাপে নিজেদের দিকে তাকাতে হবে। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান মানুষ করতে হলে কিছু ভুল কখনই করা যাবে না।
সন্তানদের পিতামাতারও উচিত নিয়ম ও সন্তান পালন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করা। সেগুলো সন্তানের, বাড়ি ও পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী সংশোধনও করা উচিত। পিতা-মাতার উচিত আজকের প্রজন্মের সঙ্গে নিজেদের নিয়মগুলোর পরিবর্তন করা। আজকালকার দিনে যুগের বদল হয়েছে পুরানো উপায়ের কোনো রকম মূল্যই নেই।
পিতা-মাতারা প্রায়ই তাদের পুরানো শিক্ষা ও নিয়ম এবং আজকের প্রজন্মের জীবনধারার মধ্যে আটকে রাখতে চান। যখন বাবা-মারা বুঝতে পারে যে আজকের প্রজন্ম একেবারেই ভিন্ন ও তাদের পুরানো নিয়ম কাজ করবে না, তখন তারা উত্তেজনা এবং বিভ্রান্তও হয়ে পড়েন। আপনি যদি সময়মত বুঝতে পারেন, আপনি যা করছেন তাতে আপনার পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে, তাহলে সেগুলো এখনই বদল করে নিতে হবে। অনেকেই মনে করেন যে, আমাদের বাবা-মা আমাদের যা শিখিয়েছিলেন, তা আমরা অনুভব করি যে আমাদের সন্তানরাও একই ধরনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠবে। আমরা ভুলে গিয়ে বসি যে প্রতিটি প্রজন্মের জীবনধারা, চাহিদা ও তাদের চিন্তাভাবনা একেবারেই ভিন্ন, তাই আমাদেরও অভিভাবকত্বের স্টাইল সেই অনুযায়ীই রাখা উচিত। এই প্রতিবেদনে আমরা অভিভাবকত্ব সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা নিয়েই আলোচনা করা হবে। আপনিও যদি একজন অভিভাবক হয়ে থাকেন, তাহলে এখানে উল্লেখিত বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে।
কখনও চিৎকার করে কথা বলবেন না
চড় ও তিরস্কার আপনার সন্তানকে কিছুক্ষণের জন্য ভয় দেখাতে পারে, তবে আপনি কি ভেবে দেখেছেন যে, এটি ভবিষ্যতে সন্তানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সন্তানদের উপর বাবা-মা রাগ দেখালে সন্তানরা হয় ভীতু কিংবা জেদী হয়ে ওঠে।
সব কিছুর মূল্য দিতে শিখুন
সন্তানকে তার পছন্দের জিনিস থেকে দূরে রাখলে সে তা পাওয়ার জন্য আরও বড় ভুল পথ খুঁজে বের করতে পারে। আমরা সকলেই দেখেছি সন্তানদের এভাবে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে। একই সঙ্গে সে কারণে সন্তানদেরও মিথ্যে কথা বলা এবং চুরি করতে দেখা যায় মাঝে মধ্যে। আপনি সন্তানদেরকে তার পছন্দের জন্য পেতে হলে তার মূল্যও বোঝা উচিত। তাকে তাৎক্ষণিক দিলে চলবে না। বরং তার সামনে কিছু দাবিও রাখতে পারেন।
ছেলেরা সাধারণত কাঁদে না
যখনই কোনো ছেলে কিংবা শিশু কাঁদে, তখন শুধু বাবা-মা নয়, পুরো পরিবারই ছেলেরা কাঁদে না বলে তাকে চুপ করে দেন। কান্না আপনার অনুভূতি, রাগ ও আঘাত প্রকাশ করার একটি উপায় এবং আপনার এটি বন্ধ করা মোটেও উচিত নয়।
সন্তানরা নিজেরাই খারাপ অভ্যাস শেখে
শিশুরা যা দেখে তা শেখে ও তাদের পিতামাতা তাদের যা শেখায় তাই শেখে। সন্তানরা অনেকটা সাদা কাগজের মতো, তারা তাদের আশেপাশের মানুষের আচরণ ও অভ্যাস থেকেই শেখে।
পাঠ্যক্রমিক কার্যকলাপ
সন্তানকে প্রতিটি কাজ করার জন্য প্রতিযোগিতায় ফেলা কেবল তার উপর বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার মতোই। আশা করবেন না যে, আপনার সন্তান সবকিছুতেই প্রথম হবে। যে সন্তান গান পছন্দ করে সে কখনই ভালো নৃত্যশিল্পী হতে পারবে না। তাই পিতা-মাতারা তাদের সন্তানের প্রতিভা শনাক্ত করে তবেই এগিয়ে যেতে হবে। তথ্যসূত্র: এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।