দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই কিন্তু ওষুধ খেয়ে উদ্বেগ কমাতে চান না। তারা মনে করেন, এক বার ওষুধ খেতে শুরু করলে তখন ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে। এমন ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে এই হলুদ!
গোটা বিশ্বেই উদ্বেগের সমস্যা বেড়ে গেছে। দিনকে দিন যত গতিময় হচ্ছে জীবন, ততোই মানসিক রোগও বাড়ছে। বিশেষ করে গতিময় জীবনে পিছিয়ে পড়ার চিন্তায় অস্থির অনেকেই। ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে নানা রকম উদ্বেগ।
কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে সমস্যা বাড়ে। কাজেও এর ছাপ পড়ে। কমে যায় কাজ করার ক্ষমতা। তবে ওষুধ খেয়ে অনেকেই উদ্বেগ কমাতে চান না। তারা মনে করেন, এক বার ওষুধ খেতে শুরু করলে তখন ওষুধের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে।
তবে নিয়মিতভাবে ধ্যান করলে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায় যে কোনও রকম মানসিক সমস্যা। তবে আরও একটি ঘরোয়া টোটকা হলো হলুদ। প্রতিদিন একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে। তা হলেই অনেকটা শান্ত থাকবে অস্থির মন।
দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরে গবেষণা করছেন ভারতীয় বিভিন্ন মশলার গুণাগুণ নিয়ে। এতে দেখা যায়, হলুদে উপস্থিত কার্কুমিন শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। যার প্রভাবে কমে মানসিক চাপ। মনের মধ্যে তৈরি হওয়া অস্থিরতা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় শরীর-মন দুই-ই থাকে স্থিতিশীল। কার্কুমিনের আরেকটি গুণ হলো, তা মস্তিষ্ক সচল রাখতেও সাহায্য করে। তাতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো হয় বলে মন্তব্য মনোবিদদের।
প্রতিদিন কতোটা হলুদ খেতে হবে?
গবেষকরা দেখেছেন, প্রতিদিন ১৫০-২৫০ মিলিগ্রাম হলুদ খেলেই যথেষ্ট কাজ হবে। তবে ব্যক্তি বিশেষে হলুদের পরিমাণ কম কিংবা বেশিও প্রয়োজন হতে পারে। নিয়ম করে হলুদ খেতে শুরু করার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়া উচিত। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।