দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের কেরালায় মাছ ধরতে গিয়ে জালে উঠলো ২৮ কোটি টাকার মূল্যবান সম্পদ! যদিও সেই সম্পত্তি শেষপর্যন্ত সরকারের হাতে তুলে দিতে হয়েছে ওই মৎস্যজীবীকে।
ভারতের কেরলের তিরুবন্তপুরমে কাছে ভিজিনজাম এলাকার বাসিন্দা সম্প্রতি মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে যান। তার জালে ওঠে এক মহামূল্যবান সম্পদ- সেটি হলো বিলুপ্তপ্রায় তিমির বমি। যার ওজন হলো প্রায় ২৮ কেজি ৪০০ গ্রাম।
আন্তর্জাতিক বাজারের ওই বমির দাম প্রায় ২৮ কোটি টাকা! উল্লেখ্য যে, অ্য়াম্বারগ্রিস অর্থাৎ স্পার্ম হোয়েল তিমির বমির প্রতি কেজির দাম হলো এক কোটি টাকা। যদিও উদ্ধার হওয়া ওই পদার্থ উপকূল পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন মৎস্যজীবী। উদ্ধার হওয়া পদার্থটি কি আদৌ অ্য়াম্বারগ্রিস কি না, সেটি জানতে রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজিতে পাঠানো হয়েছে। যে রিপোর্ট এখনও আসেনি।
কেনো অ্যাম্বারগ্রিসের এতো দাম
তিমি মাছের পাচনতন্ত্রে তৈরি হয়ে থাকে এই মূল্যবান পদার্থটি। যার বিপুল দামের কারণ হলো সুগন্ধ। চাহিদা ব্যাপক হলেও পদার্থটি মোটেও সহজলভ্য নয়। জানা গেছে, মাস্কের মতো সুগন্ধ তৈরির করতে অ্যাম্বারগ্রিস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি ব্যবহার হয় একাধিক সুগন্ধী তৈরিতেও। চাহিদা থাকলেও ভারতের বাজারে অ্যাম্বারগ্রিস বিকিকিনি একেবারেই নিষিদ্ধ।
অ্যাম্বারগ্রিস স্পার্ম হোয়েলের পাচনক্রিয়া কারণে উৎপন্ন হওয়া পদার্থ। তিমিকূলের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো স্পার্ম হোয়েল। যা বিপন্ন প্রাণীকূলের মধ্যে অন্যতম হিসেবে দেখা হয়। তাই ভারতে স্পার্ম হোয়েল ধরা পুরোপুরিভাবে নিষিদ্ধ। অ্যাম্বারগ্রিসের লোভে যাতে এই তিমি কেও শিকার না করে, সেদিকে নজর রেখে এই মহামূল্যবান সম্পদ বিকিকিনি নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতীয় বাজারে। যে কারণে ওই জেলে এতো মহামূল্যবান জিনিসটি পেয়েও পুলিশে হস্তান্তর করেছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।