দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বন্ধ্যাত্বের পিছনে মূলত যে কারণগুলো বিদ্যমান এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়ি, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা হলো অন্যতম।
দাম্পত্য জীবনে ছোট্ট অতিথির আগমন অনেক সময় বদলে দেয় সম্পর্কের সমীকরণ। কিন্তু চাইলেই কি সব সময় তা হয়? বেশি বয়স করে বিয়ে, খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম এবং মানসিক চাপ সন্তান জন্মের পথে বাঁধা হয়ে দেখা দিচ্ছে প্রায় সময়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, মহিলা কিংবা পুরুষ, উভয়ের সন্তানহীনতার নেপথ্যেই রয়েছে বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনযাত্রা। এক সময় পর্যন্ত নানা কুসংস্কারের বসে বন্ধ্যত্বের জন্য নারীকে দায়ভার বইতে হতো। তবে আধুনিক গবেষণা এবং বিজ্ঞান বুঝিয়েছে, একা নারীই নয়, এই সমস্যা থাকে পুরুষদেরও।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, বন্ধ্যত্বের পিছনে মূলত যে কারণগুলো সবচেয়ে বেশি দায়ি, যারমধ্যে ডায়াবেটিস এবং ওবিসিটি অন্যতম।
বিষেষজ্ঞরা বলেছেন যে, মহিলাদের ক্ষেত্রে স্থূলতা এবং ডায়াবেটিসের কারণে অনিয়মিত ঋতুস্রাব ও অকাল ঋতুবন্ধের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এ ছাড়াও ডায়াবেটিস থাকলে গর্ভপাতের ঝুঁকি, সময়ের পূর্বেই সন্তান প্রসব ও বন্ধ্যাত্বজনিত সমস্যাও বাড়ে। স্থূলতার কারণে বর্তমানে অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে থাকে। যে কারণে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কাও আরও বাড়ে।
পুরুষদের ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস এবং স্থূলতা যৌনক্ষমতার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে থাকে। এই দুই সমস্যা ডেকে আনে ইরেকটাইল ডিসঅর্ডারের মতো নানা রোগ। শরীরে শর্করার মাত্রা বাড়লে বা ওজন বাড়লে পুরুষদের যৌনইচ্ছাও অনেক কমে যায়। ডায়াবেটিক রোগীদের শুক্রাণুর গুণগত মানও কমে যায় যে কারণে বন্ধ্যাত্বের সমস্যাও বাড়ে। এছাড়াও স্থূলতা বেশি হলে পুরুষ শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে, এর প্রভাবও তাদের যৌনজীবনের উপর পড়ে থাকে।
সে কারণে কোনও দম্পতি যদি সন্তানধারণের পরিকল্পনা করতে শুরু করেন, সেই ক্ষেত্রে মহিলা এবং পুরুষ উভয়কেই নিজেদের ওজন সম্পর্কে আরও সচেতন হতে হবে। খুব কম কিংবা খুব বেশি ওজন, দু’টিই হলো প্রজনন ক্ষমতার পক্ষে বড় ধরনের বালাই। উচ্চতা অনুযায়ী তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণভাবে জরুরি একটি বিষয়। প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে ডায়েট করতে পারেন, শরীরচর্চাও শুরু করতে পারেন। তাছাড়াও রক্তে শর্করার মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।