দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের তারুণ্য-নির্ভর প্রোগ্রাম ‘আওয়ার শেয়ার্ড কালচারাল হেরিটেজ’র (ওএসসিএইচ) কার্যক্রম সম্প্রতি রাজশাহীতে প্রদর্শিত হয়েছে।
গত ২৮ ও ২৯ জুলাই এ কার্যক্রম প্রদর্শিত হয়। তরুণদের ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ ও কার্যক্রমের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত ও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এ প্রকল্পটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ২০২১ সাল থেকে ৩১ জন তরুণ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করছেন। প্রকল্পটির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে তরুণদের পাশাপাশি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা, যেন তারা ঐতিহ্য ও ঐতিহ্য সম্পর্কিত কাজের ব্যাপারে ধারণা পান।
গত ২৮ জুলাই এই প্রকল্পের গবেষণা অংশীদার – বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের পরিচালক টম মিশশা সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠান চলাকালে ওএসসিএইচ অংশীদার এবং ইয়ুথ বোর্ডের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম ব্যাখ্যা করে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। এরপর সেখানে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের ওপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। পরে পরে, অতিথিরা জাদুঘর ঘুরে দেখেন। এ সময় ওএসসিএইচ ইয়ুথ বোর্ডের সদস্যরা জাদুঘরে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে অতিথিদের সাথে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, “এটি একটি চমৎকার উদ্যোগ। বাংলাদেশের ঐতিহ্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং এদেশে প্রচুর তরুণ আছে। এই তরুণ জনগোষ্ঠীকে দেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে । ব্রিটিশ কাউন্সিল এর কাজ হলো তরুণদের জন্য এমন সুযোগ তৈরি করা।” পরদিন (২৯ জুলাই) পুঠিয়া প্রাসাদে ভ্রমণের আয়োজন করা হয়। সেখানে অতিথিদের কাছে এর ইতিহাস তুলে করেন ওএসসিএইচ ইয়ুথ বোর্ডের সদস্যরা। ওএসসিএইচের এক বছরের কার্যক্রম এবং কাজটি করতে গিয়ে কি কি প্রতিবন্ধকতা সামনে এসেছে, তা নিয়ে আলোচনা করেন ওএসসিএইচ ইয়ুথ বোর্ডের সদস্য, অংশীদার এবং ওএসসিএইচ’র যুক্তরাজ্য দলের সদস্যরা। এরপর একদল তরুণ সেখানে পুঁথি পাঠ করে শোনান, যা পুরোনো দিনের গল্প বলার ধরণ হিসেবে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ।
উল্লেখ্য, আওয়ার শেয়ার্ড কালচারাল হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ব্রিটিশ কাউন্সিলের একটি তারুণ্যনির্ভর প্রোগ্রাম, যার লক্ষ্য যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংস্কৃতি ও ইতিহাসের আদান- প্রদানের মাধ্যমে এর নতুন দিক উন্মোচন করা। বাংলাদেশে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের সহায়তায় রাজশাহীর ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে এই প্রোগ্রামটি পরিচালনা করছে সিসিডি এবং উড়ন্ত। এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য তরুণদের ঐতিহ্য-খাতের কাজের বিষয়ে অনুপ্রাণিত করা। খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।