দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই গরম থেকে নিস্তার পেতে বাইরে থেকে ঘরে ফিরেই ঠাণ্ডা পানি খেয়ে থাকি। তবে ফ্রিজের পানি খেলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, সেটি কিন্তু আমাদের অজানা।
গরমের অস্বস্তি কাটেনি। রোদের তীব্রতা গ্রীষ্মের মতো না হলেও একেবারে স্বস্তিদায়ক নয়। প্যাচপেচে কাদা এবং ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকেই। রোদ-বৃষ্টির আবহাওয়া মাথায় নিয়ে কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতে হয় আমাদেরকে। কাজ সেরে গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরে তখন হাত চলে যায় ফ্রিজে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা ঠাণ্ডা পানির বোতল থেকে গলায় পানি ঢাললেই যেনো শান্তি। কিন্তু চিকিৎসকরা এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে, রোদ থেকে ঘুরে ঢুকেই ঢক ঢক করে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এতে সাময়িক আরাম পাওয়া গেলেও শরীরের উপর বিরূপ প্রভাবও পড়ে।
রোদ থেকে ঘরে ফিরে ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার প্রবণতা অনেকের মধ্যে দেখা যায়। হঠাৎ শরীরে ঠাণ্ডা পানি প্রবেশ করার কারণে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে পড়ে। বিশেষ করে ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কাও থাকে। যে কারণে শ্বাসনালীতে শ্লেষ্মার অতিরিক্ত আস্তরণও তৈরি হয়। যে কারণে শ্বাসযন্ত্রজনিত বিভিন্ন সংক্রমণের আশঙ্কাও তৈরি হয়।
চিকিৎসকরা মনে করেন, গরম থেকে ফিরেই পানি খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ বসে বিশ্রাম নেওয়া দরকার। শরীরের ঘাম শুকিয়ে এলে এরপর সাধারণ পানীয় পান করা যেতে পারে। খুব গরম লাগলে এমনি পানির পরিবর্তে ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে।
# অত্যধিক ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাস মাইগ্রেনের কারণও হতে পারে।
# ঠাণ্ডা পানি হজমের সমস্যাও বাড়ায়। সেইসঙ্গে, পেটে ব্যথা ও ডায়রিয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে বেশি ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার কারণে।
# ঠাণ্ডা পানি মস্তিষ্কে অক্সিজেন পৌঁছাতে দেয় না। যে কারণে মাথার কোষে রক্ত চলাচলও ব্যাহত হতে পারে।
# নিয়মিত ঠাণ্ডা পানি খাওয়ার অভ্যাসে থাইরক্সিন হরমোনের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে থাইরয়েড হওয়ার আশঙ্কাও একেবারে ফেলে দেওয়া যায় না। সেইসঙ্গে টনসিল গ্রন্থি ফুলে গলা ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
# অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি খেলে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলোর ক্ষয়ও ঘটতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।