দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কম্পিউটার বা মোবাইল হোক সারাক্ষণ ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই বলেই বিপদ ঘটে। তাহলে এর সমাধান কী?
শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আইজের সমস্যা এখন বিরল নয়। যার বড় কারণ হলো কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের স্ক্রিন। নিরন্তর এই পর্দাগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে অল্প বয়স হতেই চোখের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। তবে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে একটি ব্যায়াম।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, একটানা সারাক্ষণ ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে, আমরা চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাই বলেই এমন বিপদ হয়। এমনিতে যতোবার শ্বাস চলে, ততোবারই পলক পড়ার কথা। অর্থাৎ মিনিটে অন্তত ১৮ বার। তাতে করে কিছু তৈলাক্ত এবং জলীয় পদার্থ মণির উপর ছড়িয়ে পড়ে চোখকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু এক মনে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ১৮ বার নয়, মাত্র ৫-৯ বার পলক পড়ে। আর তখন চোখ শুকোতে থাকে। দেখা দেয় চোখের উপসর্গ, যাকে বলা হয় ‘ড্রাই আই সিনড্রোম’।
তা ছাড়াও অনেকক্ষণ ধরে কাজ করলে মণিকে ক্রমাগত স্ক্রিনের চারপাশেই ঘোরাতে হয় বলে পেশিতেও চাপ পড়ে। ক্লান্ত হয়ে যায় চোখ। যতোটা বেশি সময় ধরে কাজ চলে, ততোই বাড়ে বিপদ। যাদের চোখে খুব বেশি মাইনাস পাওয়ার রয়েছে, তাদের সমস্যাটা বেশি। চশমা না পরে কাজ করলেও সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। আমরা যখন মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকি, তখন পরিপূর্ণভাবে পলক পড়ে না। পলক পড়ার সময় চোখ কিছুটা খোলা থেকেই যায়। তাতেই বেড়ে যায় শুষ্ক চোখের সমস্যা।
কতোক্ষণ অন্তর চোখের পলক ফেলবেন এবং কীভাবে চোখের ব্যায়াম করবেন?
# আপনি কিছুক্ষণ দু’হাতের তালু একটির সঙ্গে অপরটি ঘষে নিন। ঘর্ষণের কারণে হাতের তালুতে যে তাপ উৎপন্ন হয়ে থাকে, তখন চোখ বন্ধ করে হাত দু’টি চোখের উপর রাখুন। এতে চাপ দেবেন না। হালকা হতেই তাপ দিন চোখে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে দিনে অন্তত ৩/৪ বার এটি করতে পারেন। এতে করে আপনার চোখ ভালো থাকবে।
# আরেকটি হলো প্রতি ৩/৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা হলে চোখের অনেক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়। বিশেষ করে একভাবে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝে-মধ্যে চোখের এই ব্যায়ামটি করে নেওয়াই ভালো। টানা ১ মিনিট ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলাও খুব উপকারী অনুশীলন হিসেবে ধরা হয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।