দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধমুখী ছিল। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম উঠে গিয়েছিলো ১৩৯ ডলারে। ক্রমাগত সেই দাম কমতেও শুরু করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের দাম ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর একেবারে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। গতকাল শনিবার (৬ আগস্ট) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ৯০ ডলারেরও নিচে এসে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শেষের দিকে ব্যবসায়ীরা বিশ্বজুড়েই মন্দার আশঙ্কা করছেন। এতে করে জ্বালানির চাহিদা কমবে- এমন শঙ্কার কারণে কমে যাচ্ছে তেলের দাম।
অয়েল প্রাইস ডটকম এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দুই ধরনের অপরিশোধিত তেলই এখন ১০০ ডলারের কমেই বিক্রি হচ্ছে। এই রিপোর্ট লেখার সময় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেল ব্যারেল প্রতি ৮৮ ডলার ৪৩ সেন্ট এ বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৯৩ ডলার ৯৫ সেন্ট এ।
অপরদিকে গত বৃহস্পতিবার বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ড ক্রুড প্রতি ব্যারেল ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ২ দশমিক ৬৬ ডলার কমে ৯৪ দশমিক ১২ ডলারে বিক্রি হয়, যা গত ১৮ ফেব্রুয়ারির পর ছিলো সর্বনিম্ন দর।
ব্লুমবার্গের বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী দেখা যায়, গত এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের পর এবারই সবথেকে দ্রুত গতিতে তেলের দাম কমছে। রয়টার্স বলছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপজুড়ে চলছে মন্দাবস্থা।
উদীয়নমান অর্থনীতির দেশগুলো তাদের ঋণ পরিশোধ নিয়ে রয়েছে বিপাকে। অপরদিকে চীনে শূন্য কোভিড নীতির কারণে অর্থনীতি কার্যক্রমও কমেছে। এই দেশটিই হলো বিশ্বে জ্বালানি তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।
এই সব নানা কারণে চাহিদা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম কমছে।
তবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও বাংলাদেশে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। একধাপে এতোটা দাম বৃদ্ধি করা সত্যিই অযৌক্তিক। কারণ তেলের অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দামও বৃদ্ধি পাবে। এমনিতেই সোয়াবিন তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। তারপর এই মুহূর্তে তেলের দাম বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। ভর্তুকি কমাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কিছুটা সময় নিয়ে এবং পর্যায়ক্রমে এই দাম সমন্বয় করার দরকার ছিলো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।