দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোনো সময় আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যেতেই পারে। আর তখন কী ওষুধেও কাজ হচ্ছে না? সুস্থ্য থাকতে দুধের সঙ্গে কী মেশাবেন?
আপনি একটু কাজ করলেই ক্লান্ত লাগে? ছুটির দিনে কোথাও না বেরিয়ে বাড়িতেই থাকতে ইচ্ছা করে? আবার অল্পেই রেগে যাচ্ছেন? এই সব উপসর্গের নেপথ্য থাকতে পারে আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গেলে এই শারীরিক সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির অভাব ঘটলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। মাঝেমধ্যেই এমন শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। সেইসঙ্গে ঘরোয়া উপায়েও চেষ্টা করে দেখতে পারেন এই সমস্যা সমাধানের।
সাধারণত এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলেও সুফল পেতে পারেন। রক্তাল্পতার সমস্যা থাকলেও কাজে আসবে মিছরি দেওয়া এই দুধ। শরীর সুস্থ রাখতে দুধের কোনো বিকল্প নেই। কারণ হলো দুধে রয়েছে প্রোটিন, নিয়াসিন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও আয়োডিনের মতো উপকারী নানা পুষ্টিগুণ। দুধ খেলে অনেকের গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তবে দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে এই সমস্যা হবে না। মিছরি হজমেও সাহায্য করে। শরীরের বাড়তি কর্মশক্তি জোগাতে দুধই খুব উপকারী এটি।
হালকা গরম দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে বদহজমের সমস্যাও দূর হবে। তাছাড়াও, গ্যাসের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও ভীষণ সাহায্য করে দুধ-মিছরির মিশ্রণ।
রাতে ঘুমানোর পূর্বে দুধের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে খেলে অনিদ্রার সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি মন শান্ত রাখতে এবং হতাশা থেকে মুক্তি পেতেও ভীষণ কাজ করে এই দুধ-মিছরি। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।