দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন কিছু মুখরোচক খাবার রয়েছে, যা বার বার খেতেই ইচ্ছা করে। যে কারণে মাঝে-মধ্যেই খাওয়ার অভ্যাস হয়ে যায়। আজ জেনে নিন যে খাবার বেশি খেলে কমবে আয়ু।
তাহলে কোন খাবারে কমে আয়ু?
মুখে যা ভালো লাগে, তা-ই খান? আর যা ভালো লাগে না, তা আপনি খান না? কিন্তু আপনি কী জানেন? এতেই আরও বাড়ে সমস্যা। বাড়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও। আর তখন নিজের অজান্তেই কমতে থাকে আয়ু। কারণ হলো অনেকেই জানেন না যে, খাবার কতোটা প্রভাব ফেলে প্রতিদিনের খাদ্যের মধ্যে। আপাত দৃষ্টিতে মুখরোচক খাবার যে কতো সমস্যা তৈরি করতে পারে, সে কথা তখন জানা থাকে না।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশ কিছু জনপ্রিয় খাবার রয়েছে যেগুলো কমাতে পারে আয়ু। কারণ হলো, কয়েক ধরনের অসুখের আশঙ্কাও বেড়ে যায় এই সব খাবার খাওয়ার কারণে। ওই গবেষণাপত্রে দেখা যায়, ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হার্টের অসুখ, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যালঝাইমার্স এবং ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা যে সব খাবারে বাড়ে, সেই সব খাদ্যতেই আয়ু কমায় বেশি।
কোন কোন খাবার আয়ু কমানোর মতো অসুখের আশঙ্কা আরও বাড়ায়
# প্রক্রিয়াজাত মাংস সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই দৌড়ে। সসেজ, বেকনের মতো খাবার যতো কম খাওয়া যাবে, ততোই মঙ্গল।
# ইনস্ট্যান্ট নুডলস্ও বেশ সঙ্কটজনক। কারণ হলো, এই ধরনের নুডলসে অনেকটা পরিমাণ লবণ থাকে। তাতে সোডিয়ামের মাত্রাও থাকে বেশি। এটি শরীরের ক্ষতি করে।
# মুসলি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার দিয়ে আপনি প্রাতরাশ করেন কী? এসবও কমাতে পারে আয়ু। কারণ হলো, এতে অতিরিক্ত চিনি থাকে। এটি স্থূলতা, ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও বাড়ায়। আর তাতেই কমতে থাকে আয়ু।
# প্যাকেট-বন্দি নাস্তাও খাওয়া ভালো নয়। এমন ধরনের চিপ্স, ভাজাভুজিতে থাকে অনেকটা লবণ। এতেই হয় শরীরের ক্ষতি।
# আবার নিয়মিতভাবে বার্গার খাওয়াও ক্ষতিকর। কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা থাকে অতিরিক্ত। আবার সঙ্গে ক্ষতিকর ফ্যাটও যায় শরীরে। শরীরের ক্ষতিও হয় সে কারণেই। আবার আয়ু কমে যায়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।