দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাড়ির একজন সদস্যও যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা একান্তা দরকার।
বাড়ির একজন সদস্যের ডায়াবেটিস থাকলে অনেক সময় পরিবারের ছোট সদস্যদেরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়ে যায়। আর তাই বাড়ির একজন সদস্যও যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের শিশুদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা একান্ত দরকার।
চিকিৎসকরা বলেছেন, টাইপ-১ ডায়াবেটিসের কারণে শিশুদের বার বার মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত খিদে পাওয়া, তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়াসহ যে কোনও ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও তখন বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পড়ালেখা, খেলাধুলোসহ নানা কাজে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যাও তখন বাড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকিও থাকে তাদের জন্য। বর্ষা বা শীত শুরুর আগে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথার মতো নানা সমস্যা হয়। বার বার সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের ক্রনিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়। খাদ্যাভাস এবং বংশানুক্রমিক সমস্যাকেই মূলত টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসাবে নির্ধারিত করা হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস থেকে কীভাবে দূরে রাখবেন আপনার শিশুকে?
# এই আধুনিক জীবনে শিশুদের খেলার মাঠের বদলে ভিডিও গেমের রিমোট হাতেই বেশি দেখা যায়। যা শিশুর সঠিক বিকাশে বাধাগ্রস্থ হয়। তাই প্রতিদিন অন্তত ঘণ্টাখানেক দৌঁড়ঝাপ করা একান্ত দরকার।
# বয়সের তুলনায় শিশুর ওজন যদি খুব বেশি থাকে তাহলে সর্বপ্রথম নিয়ন্ত্রণে আনুন আপনার ওজন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুর উপযুক্ত একটি ডায়েট চার্টও বানিয়ে নিতে পারেন।
# চকোলেট হোক কিংবা কেক হোক, শিশুরা মিষ্টি জাতীয় খাবাব খেতে সব সময়ই পছন্দ করে। বাড়ির বড়দের খেয়াল রাখতে হবে যাতে করে শিশু অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার কখনও খেয়ে না ফেলে।
# আপনার শিশুর সকালের প্রাতরাশে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বেশি করে ফল রাখুন।
# প্রতিদিন শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করতে হবে। সময় মতো খাবার খেলে হজমজনিত সমস্যা থেকে দূরে রাখা যাবে আপনার শিশুকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।