দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হার্ট অ্যাটাক যে সব সময়ই হঠাৎ হবে, এমনটি কিন্তু নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকার হন অনেকেই। কিন্তু কোন উপসর্গ দেখলে আপনি সতর্ক হবেন?
সাম্প্রতিক সময় অল্পবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়ছে। ভারতের বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন বিগ বস তারকা সোনালি ফোগতের হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে ভীতি তৈরি করছে অল্পবয়সিদের মনেও। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রাও বেশি বা যাদের স্থূলতার সমস্যাও রয়েছে, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস এবং কর্মব্যস্ত জীবনে অল্প বয়স হতেই ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কারও হার্ট অ্যাটাক হলে প্রতিটি সেকেন্ডই সেই সময় গুরুত্বপূর্ণ। যতো দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে- ততোই মঙ্গল।
চিকিৎসকরা হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি ধরন নিয়েও বার বার সতর্ক করেছেন। তারা মনে করেন, হার্ট অ্যাটাক সব সময় যে হঠাৎই হবে, এমন কিন্তু নয়। বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’-এর শিকারও হন অনেকেই। এই প্রকারের অ্যাটাকে সব রকম উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরেই আসে। এই উপসর্গগুলো আমরা অনেক ক্ষেত্রেই অন্যসব রোগের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। অনেক সময় এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে সেভাবে কোনও ব্যথাও অনুভব করেন না আক্রান্ত রোগী। তবে ভিতরে ভিতরে ঘটে গিয়ে থাকে হার্ট অ্যাটাক।
এমন হৃদরোগের উপসর্গ তাহলে কী?
সাধারণত এই ধরনের হার্ট অ্যাটাকে বুকে চাপ, ব্যথা, এগুলো মাঝে-মধ্যে আসে। আবার সেরেও যায়। আমরা ভেবে বসি হজমের সমস্যা হয়েছে। তবে মাঝে-মধ্যে বুকে চিনচিনে ব্যথা সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি লক্ষণ। বুকের বাঁ দিকে ব্যথা হবে, অনেক সময় গোটা বুক জুড়েই চাপ এবং অস্বস্তি অনুভব করেন রোগী। অনেক সময় বুকের পেশিতেও টান পড়ে যায়। সঙ্গে শ্বাসকষ্টের সমস্যাও দেখা দেয়। খুব অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, সামান্য শারীরিক কাজেই হাঁপাতেও দেখা যায়। এমনকি এক জায়গায় বসে থেকেও ক্লান্তি আসতে পারে এমন অবস্থাতে।
হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে কেবল বুকের সম্পর্ক রয়েছে, এমন ধারণাও কিন্তু ভুল। হাত, ঘাড়, কাঁধে ব্যথাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেট, এমনকি, চোয়ালে ব্যথা হলেও অবহেলা করা যাবে না। এই অস্বস্তিগুলোর মুখোমুখি হলেই দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে। নিয়ম করে শারীরিক কসরত এবং ডায়েটের মধ্যে থেকে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।