দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রযুক্তি সব সময় পরিবর্তনশীল। কে কখন এগিয়ে যাবে তা সত্যিই বলা মুশকিল। ঠিক তেমনি স্মার্টওয়াচের বাজারেও ভারতের বাজিমাত, এবার পিছনে ফেললো চীনকে।
সম্প্রতি ‘কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চে’র এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত বছরের তুলনায় অর্থাৎ ‘ইয়ার-অন-ইয়ার’ হিসেবে একধাক্কায় ৩৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেলো ভারতের স্মার্টওয়াচের বাজার! এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের নিরিখে ভারত দ্বিতীয় অবস্থানে।
মুদ্রাস্ফীতি বা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো আন্তর্জাতিক অস্থিরতার এই পরিস্থিতিতেও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের হিসেব চমকে দিয়েছে। দেখা যাচ্ছে যে, ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে পুরো বিশ্বের স্মার্টওয়াচ বিক্রি। এই বৃদ্ধির অন্যতম কারণই হলো ভারতীয় পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। ভারতীয় দুই ব্র্যান্ড ‘ফায়ার-বোল্ট’ এবং ‘নয়েজ’ এই মুহূর্তে স্মার্টওয়াচের ব্র্যান্ড হিসেবে রয়েছে শীর্ষে।
অপরদিকে মুখ থুবড়ে পড়েছে চীনের বাজার। হুয়েই, ইমো বা আমাজফিটের মতো ব্র্যান্ডের বিক্রি অনেকাংশে কমেছে। সেইসঙ্গে লাফিয়ে বেড়েছে ভারতীয় ব্র্যান্ডগুলোর বেচা-বিক্রি।
গত বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের সঙ্গে তুলনায় ‘নয়েজে’র বিক্রি বেড়ে গেছে ২৯৮ শতাংশ। তবে ভারতীয় বাজারে ‘ফায়ার-বোল্ট’ই এই মুহূর্তে শীর্ষে। যে কারণে ‘নয়েজে’র বিক্রি আবার দেশীয় বাজারে কমেছে ২৬ শতাংশ।
তারপর অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতেই পারে, কোন অঙ্কে বাজিমাত করছে ভারতীয় ব্র্যান্ডের এই স্মার্টওয়াচ? এর পিছনে অন্যতম কারণই হলো, ভারতীয় বাজারে স্মার্টওয়াচের খুব কম দাম। পরিসংখ্যান বলছে যে, ভারতীয় বাজারে রপ্তানি করা ৩০ শতাংশ মডেল ৪ হাজার রুপিরও কম দামে বিক্রি হয়েছে।
গত ত্রৈমাসিকেও বিশ্ব বাজারে চীনের স্থান ছিলো দ্বিতীয়। তবে আর্থিক মন্দার কারণে তারা এখন তিন নম্বরে উঠে এসেছে। তাদের ‘হুয়েই’ ব্র্যান্ড হিসেবে সেদেশের বাজারে রয়েছে শীর্ষে। রপ্তানিও বেড়ে গেছে ১৩ শতাংশ। তবে সার্বিক ছবিটা আশাপ্রদ নয়।
মনে করা হচ্ছে যে, ভারতীয় বাজারে এই পণ্যগুলো বিক্রি করতে না পারলে চীনের স্মার্টওয়াচের বাজারে কোনো উন্নতি হবে না। তবে ভারতীয় বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে এখনই দেশীয় পণ্যকে টেক্কা দেওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে চীনের। অপরদিকে ইউরোপের বাজারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ায় তারা নেমে এসেছে চতুর্থ স্থানে। তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।