দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’-এর করা এক গবেষণায় উঠে এসেছে, যারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করেন, তাদের যে কোনও রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা ৯ হতে ১৩ শতাংশ কম।
সকাল-বিকেল দু’কাপ চা না হলে কী চলে? প্রতিদিন দু’বেলা চা পানের এই অভ্যাসই বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আয়ু। এমন তথ্য বেরিয়েছে এসেছে ব্রিটেনের এক দল গবেষকের করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সংস্থার অধীনস্থ ‘ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট’-এর করা গবেষণাটি জানাচ্ছে যে, যারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ চা পান করেন, তাদের যে কোনও রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা ৯ থেকে ১৩ শতাংশ কম।
গবেষকরা দাবি করেছেন যে, এতোদিন চা নিয়ে যে ধরনের গবেষণা হয়েছে, তার অধিকাংশই ‘গ্রিন-টি’ সংক্রান্ত ছিলো। তবে এবারের এই গবেষণাটিতে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের চায়ের উপরেও গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। যারা চা পান করেন না, তাদের তুলনায় মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোই শুধু নয়, চা পান করলে কমে হৃদরোগ এবং সেইসঙ্গে স্ট্রোকের আশঙ্কাও- এমন দাবি গবেষকদের।
একটি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানপত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাটিতে অংশ নেন, ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৩ জন। অংশগ্রহণকারীদের বয়স ছিল ৪০ হতে ৬৯-এর মধ্যে। গবেষণার তথ্য বলছে যে, বিশ্বব্যাপী যতো মানুষ নিয়মিত চা খান, তাদের মধ্যে ৮৯ শতাংশই লাল চা পান করেন। প্রায় ১১ বছর যাবত অংশগ্রহণকারীদের পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা। গবেষকরা মনে করেন, চা স্বাস্থ্যকর খাদ্যের তালিকাতেও যোগ করা যেতে পারে। দুধ-চিনি বা ক্যাফিনের পরিমাণ নির্বিশেষে এই ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানানো হয় ওই গবেষণাপত্রে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।