দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসদ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। অতিরিক্ত ওজন অন্ত্র ও স্তনের মতো বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে।
বিশ্বব্যাপি ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৮ সালে এ দেশে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৫ লক্ষ। ২০২০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৯ লক্ষে। বর্তমানে কমবয়সিদের মধ্যেও বাড়ছে এই প্রকোপ।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার তেমন কোনও নির্দিষ্ট কারণও নেই। ক্যান্সার মূলত একটি ‘মাল্টি ফ্যাক্টেরিয়াল ডিজিজ’। চিকিৎসকরা বলেছেন, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রতি ঝোঁক- এমন কয়েকটি কারণে ক্যান্সার বাসা বাঁধে মানবদেহে।
সম্প্রতি চিকিৎসকরা বলেছেন যে, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস। অতিরিক্ত ওজন অন্ত্র ও স্তনের মতো বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শারীরিক কসরত ক্যান্সারের আশঙ্কা অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা আরও কমিয়ে দেয়, যে কারণে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও তখন কম থাকে। মারণ রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ব্যায়াম করা আবশ্যক।
কোন ধরনের ব্যায়ামে কমে যেতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি?
এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসরা জানিয়েছেন, শরীরচর্চা মানেই যে জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানো, তা কিন্তু নয়। সাইকেল চালানাো, সাঁতার কাটা, হাঁটাচলা করা, যোগাসনের মতো সাধারণ কয়েকটি শরীরচর্চাতে কমবে ক্যান্সারের প্রবণতা। বেশি করে ঘাম ঝরাতে চাইলে ভরসা রাখতে পারেন ব্রিকস, এরোবিকসের উপর। ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবলের মতো কিছু খেলাও প্রতিদিনের শরীরচর্চার রুটিনে রাখতে পারেন- এতেও উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।