দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ওরা সত্যিই কুর্ণিশ জানানোর মতো কাজ করেছেন। ওদের বেশির ভাগের পারিবারিক অবস্থা আমরা সবাই জানি। তবে ইচ্ছা শক্তির বলে বলিয়ান হয়ে ওরা আজ এই পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। তাই ওদের কুর্ণিশ জানাই।
এক সময় যখন আমাদের দেশে ফুটবলই ছিলো প্রধান এবং একমাত্র অবলম্বন। আমরা ফুটবল খেলাকেই বেশি গুরুত্ব দিতাম। ছিয়াশির ম্যারাডোনার সেই গোল আজও আমাদের হৃদয়ে গেঁথে আছে। আমরা সেদিন ম্যারাডোনাকে সমর্থন করেছিলাম কেনো? ভালো খেলার জন্য। আমরা আর্জেন্টিনাকে কেনো সমর্থন করেছি? ভালো খেলার জন্য। ছিয়াশির পরও নব্বই এবং তারপরও ম্যারাডোনা এবং পরবর্তী পর্যায়ে মেসি এসেও অনেকটা সেই জায়গা অর্থাৎ ম্যারোডোনার জায়গা নিয়েছিলো। আমরা সারা বিশ্ববাসী উন্মাদ ছিলাম ফুটবলে। এখন কিন্তু সেই উন্মাদনাটা নেই। কারণ এর মধ্যে ক্রিকেট এসে আমাদের কিছুটা আচ্ছন্ন করে ফেলেছিলো।
তবে এবার সাফ গেমসে এসে নেপালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্যদিয়ে আবারও সেই উন্মাদনা ফিরে এসেছে। বিশ্ব দরবারে যারা আমাদের জাতির মুখ উজ্জ্বল করেছে তাদের নিয়ে আমরা মাতামাতি কেনো করবো না?
আমরা জাতি হিসেবে সব সময় খেলাধুলাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। ক্রিকেট খেলার কোনো একটি ম্যাচ জিতলেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে অভিনন্দন জানান। এটি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে হয় না। খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়াটা খুবই জরুরি একটি বিষয়।
এবার সাফজয়ী নারীদের ক্ষেত্রেও বেশ উৎসাহ দেওয়া হলো। ওরাও উৎসাহিত হয়েছে, সেটি কয়েকজনের সাক্ষাৎকারেও উঠে এসেছে। অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। বাসের খোলা ছাদে উচ্ছ্বাস প্রকাশের কথা বাস্তবায়ন দেখেও তারা আপ্লুত হয়েছেন। এভাবে তাদেরকে উৎসাহিত করে ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের আরও অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।
তাই আমরা বলতেই পারি- জাতি হিসেবে আমরা অকৃতজ্ঞ নই। আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের কদর করতে জানি। আমরা যোগ্যতার দামও দিতে জানি।
আজ যারা আমাদের জাতিকে বিশ্ব দরবারে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে তাদেরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করার সময় এসেছে। তাদের মাসিক ভাতা ও অন্যান্য বিষয়গুলো বিবেচনায় আনাটা জরুরি। কারণ নারী ফুটবলে যারা আজ দুর্দান্ত খেলা দেখিয়েছে তাদের এগিয়ে নিতে হলে তাদের নিজ নিজ পারিবারিক পরিস্থিতির উন্নতি করাটাও জরুরি। যাদের দিন আনে দিন খায় অবস্থা। ঘর-বাড়ি নেই। তাদের চলার কোনো পথ নেই, তাদের দিকে আগে নজর দিতে হবে। ওইসব বোনদের পরিবারের অবস্থা আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে সবাই অবগত হয়েছি। খুব গরীব ঘরের মেয়ে হয়েও অদম্য ইচ্ছা শক্তির কারণে তারা আজ এই পর্যায়ে এসেছেন। তাদের উৎসাহ দিলে আগামী আরও অনেক খেলায় তারা ভালো করবে। তাছাড়া তাদের দেখে আরও অনেক খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে আমাদের দেশে। আর তখন একদিন আমরা বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচেও অংশ নিতে পারবো- ইনশাহআল্লাহ।
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।
This post was last modified on সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২ 9:47 পূর্বাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আর্থ্রাইটিস, অর্থাৎ বাত যে শিশুদেরও হয়, সে কথা অনেকেই হয়তো…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে প্রথমবারের মতো 'প্রিয়তমা'…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার নিউ অরলিন্স শহরের ফ্রেঞ্চ কোয়ার্টারে বর্ষবরণের উদ্যাপনে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেক প্রতিযোগিতা দেখে থাকি। তবে আজ এমন এক বিচিত্র…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ১৮ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, অনিয়ম জীবনযাপনের জেরে শরীরে রোগের…