দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হতে চাইলে প্রতিদিন পাতে রাখুন টক দই। ওজন কমাতে টক দইয়ের মতো পারদর্শী আর কিছু নেই। তবে জানতে হবে কীভাবে খেলে দ্রুত রোগা হবেন।
রোগা হওয়া খুব সহজ নয়। তারজন্য পরিশ্রম করা প্রয়োজন। তাছাড়া চটজলদি রোগা হওয়ার কোনও উপায়ও নেই। খাওয়া-দাওয়ায় বিধি-নিষেধ মেনে চলার সঙ্গে সঙ্গে দরকার নিয়ম করে শারীরিক কসরতও। অনেকেই ওজন কমিয়ে রোগা হতে চান। রোগা হওয়ার পর্বে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কী থাকছে, সেটি দেখা খুবই জরুরি। আবার এমন কিছু রাখতে হবে যা পেটও ভরতি রাখে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকরও। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা পালন করবে। পুষ্টিবিদরা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে দই খুবই ভালো বিকল্প হতে পারে। টক দই এমনিতেই অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। ওজন কমাতেও এর জুড়ি নেই। তবে তার আগে জানতে হবে কীভাবে দই খেলে সুফল পাওয়া যাবে খুব দ্রুত। বিষয়টি আজ জেনে নিন।
ওটস দই মশলা
ওজন কমাতে ওটসের ভূমিকা কী তা নতুন করে বলার কিছু নেই। যদি টক দইয়ের সঙ্গে জুটি বাঁধে ওটস, তাহলে তো যেনো সোনায় সোহাগা! ওজন কমানো নিয়ে কোনও রকম চিন্তাই তখন থাকবে না। সকালের নাস্তায় অনায়াসে খেতে পারেন ওটস দই মশলা। কীভাবে এটি বানাবেন? ওটস নরম করে তারপর সেদ্ধ করতে বসান। সেদ্ধ হয়ে এলেই এতে মেশান পেঁয়াজ কুচি, শসা কুচি, টম্যাটো কুচি, গাজর, সামান্য মরিচের গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়, লবণ। এবার একটি পাত্রে তেল গরম করে তাতে সর্ষে এবং ধনেপাতা ফোড়ন দিয়ে ওটস ও সব্জিগুলো দিয়ে দিন। একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ওটস সব্জি মশলা।
চিকেন দই
অনেকেই ভাত খেলেই ওজন বেড়ে যেতে পারে ভেবে দুপুরের খাবারে স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু কিছু খোঁজেন। তাদের জন্য এই পদটি দারুণ বিকল্পও হতে পারে। এই পদটি রান্না করাও খুবই সহজ। সাধারণত অল্প তেল-মশলা দিয়ে যেভাবে মাংস রান্না করে থাকেন, এতে বেশি করে দই মিশিয়ে দিতে পারেন। তবে চিনি দেবেন না। দই মাংসের এই পদ একইসঙ্গে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুইয়েরই যত্ন নেবে।
সব্জির রায়তা
রোগা হতে চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাবারের রুটিনে বেশি করে রাখতে হবে সব্জি। ওজন কমাতে এর চেয়ে ভালো বিকল্প হতে পারে না। চেনা সব্জির একটু অন্যরকম স্বাদ পেতে চাইলে আপনি বানিয়ে নিতে পারেন রায়তা। কীভাবে বানাবেন? একটি পাত্রে কুচি করে কাটা টম্যাটো, পেঁয়াজ, জিরে গুঁড়া, মরিচ কুচি, ধনে গুঁড়া, লাল মরিচের গুঁড়া ও বেশি করে টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারে রায়তা। এটি স্বাথ্যের জন্য খুবই ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।