দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই পুজোয় ঠাকুর দেখার সময়ই হোক বা বন্ধুর বাড়ির আড্ডায় হোক, সব জায়গায় একই রকম থাকে চুলের সাজ? এই সময় নজর দিন কেশসজ্জাতে।
হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান দূর্গাপুজা। আর পুজো মানেই জামাকাপড়ে শেষ কথা নয়! এর সঙ্গে রয়েছে সাজগোজও। হালকা মেক আপ করে নিলেও বাদ পড়ে যেতে পারে চুলের সাজ। পুজোয় ঠাকুর দেখার সময় হোক বা বন্ধুর বাড়ির আড্ডা, হয় খোলা চুল, না হয় খোঁপাতেই সেজে ওঠেন অধিকাংশ নারী। অথচ ভিড়ের মাঝে সকলের নজর কাড়তে চুলের বাঁধন যথেষ্ট!
মাথায় রাখতে হবে, কেশসজ্জা হতে হবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই। পুজোর ক’দিন পোশাকের দিকেই ঝোঁকেন মেয়েরা, আবার দু’-এক দিনের জন্য ফিউশনের চাহিদাও রয়েছে তাদের। তাই চুলের স্টাইল এমন করুন, যা দু’ধরনের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। কীভাবে সাজবেন?
লো মেসি বান
ঘাড়ের উপর আলুথালু খোঁপাকেই বলা হয় লো মেসি বান। সেজন্য খুব পারদর্শী হওয়ার প্রয়োজন নেই। পাড়ার মণ্ডপে আড্ডা দেওয়াই হোক কিংবা সবাই মিলে রেস্তরাঁয় খেতে যাওয়ায় হোক- এই হইহুল্লোড়ের মধ্যেও শান্ত, স্নিগ্ধ দেখতে লাগবে আপনাকে। হালফিলে এই স্টাইলটি বেশ ‘ট্রেন্ডি’!
হাই টপ বান
পুরো চুল একসঙ্গে জড়ো করে মাথার একেবারে উপরের দিকে খোঁপা বাঁধুন। সামনের দিয়ে খানিকটা চুল বের করে রাখতে পারেন। কুর্তি হোক কিংবা জিন্স হোক, সব পোশাকের সঙ্গেই মানাবে চুল বাঁধার এই কায়দাটি।
ফ্রেঞ্চ ব্রেড
এই ধরনের বিনুনি উৎসবের সাজের সঙ্গে দারুণভাবে মানায়। সামনেটা দু’ভাগে ভাগ করে ফ্রেঞ্চ ব্রেড করে নিতে পারেন। কিছু চুল বের করে রাখুন। বাকি চুলে কার্লার দিয়ে হাল্কা ঢেউ তৈরি করেও নিতে পারেন।
হেয়ার নট পনিটেল
প্রথমেই এক পাশে সিঁথি করুন। বাঁ দিকে সিঁথি করলে সেখান থেকে কান পর্যন্ত চুল ৫ ভাগে ভাগ করে নিন। এই চুল টুইস্ট করে মাথার পিছনে নিয়ে তারপর ক্লিপ দিয়ে আটকে নিন। পিছনের সব চুল ডান দিকে নিয়ে আসুন। খেয়াল রাখাটা জরুরি, টুইস্টেড হেয়ারের ঠিক উল্টো দিকেই পনিটেল হবে। পনিটেলের জন্য কিছু চুল রেখে তারপর অল্প চুলের গোছা বের করুন। সেটি দিয়ে পনিটেল জড়িয়ে নট বাঁধতে বাঁধতে শেষ অবধি এসে তারপর বেঁধে নিন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।