দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একই স্বাদের কফি খেয়ে খেয়ে একঘেয়ে লাগতেই পারে। সেজন্য বানিয়ে নিতে পারেন কয়েকটি একেবারে ভিন্ন স্বাদের কফি। যে কফিগুলো খেয়ে চমকে যেতে পারেন আপনি নিজেও। আজ রয়েছে তেমন কয়েকটি কফির কথা।
সকালের জড়তা কাটাতে বা প্রিয়জনের সঙ্গে রেস্তোরাঁর নিভৃত কোণে আলাপচারিতায় কফির মাহাত্ম্য সর্বত্র বিদ্যমান। তবে সবাই যে একই ধরনের কফি খেতে ভালোবাসেন তা কিন্তু নয়। কেও কেও ভালোবাসেন দুধ, চিনি দিয়ে খেতে। আবার কারও পছন্দ চিনি ছাড়া কালো কফি। ক্যাপাচিনো-প্রেমীর সংখ্যাও নেহায়েত খুব একটা কম নয়। কফি খেতে যারা ভালোবাসেন, সারা দিনে তারা অন্তত কয়েক কাপ কফি খেয়েই থাকেন। মাথা ধরা থেকে মন খারাপ- সব কিছুর চটজলদি সমাধান যেনো লুকিয়ে রয়েছে কফির চুমুকেই। তবে সব ক্ষেত্রেই স্বাদ বদলের প্রয়োজন রয়েছে। কফিই বা কেনো বাদ যাবে! একই স্বাদের কফি খেয়ে খেয়ে একঘেয়ে লাগলে বানিয়ে নিতে পারেন কয়েকটি ভিন্ন স্বাদের কফি।
মওকা কফি
এই কফির স্বাদ একেবারেই ভিন্ন। অনেকেই মওকা কফির ভক্ত। যারা এই কফি খেতে ভালোবাসেন, তাদের জন্যই রইলো মওকা কফি তৈরির প্রণালী। ক্যাফে মওকা বানানোর জন্য প্রয়োজন ৩০ মিলিলিটার এসপ্রেসো, ১৫ গ্রাম চকলেটের গুঁড়া, ২০০ মিলিলিটার পরিমাণ ঘন ফোটানো দুধ। এইসব উপকরণ একসঙ্গে কফি মেকারে দিয়ে বানিয়ে নিতে হবে মওকা কফি।
অ্যাফোগাতো কফি
নামটা একটু বিদঘুটে মনে হলেও এই কফি বানানো খুবই সহজ। এই কফি বানাতে লাগে দু’টি মাত্র উপকরণ- এসপ্রেসো লিকার ও ভ্যানিলা আইসক্রিম।
কীভাবে বানাবেন?
এক স্কুপ পরিমাণ ভ্যানিলা আইসক্রিম নিয়ে গরম করে নিন। আইসক্রিম গলে তরল হয়ে যাওয়ার পর তাতে ঢেলে দিন এসপ্রেসো লিকার। তৈরি হয়ে যাবে আপনার অ্যাফোগাতো কফি।
লাতে কফি
ক্যাপাচিনোর মতো লাতেও খুব জনপ্রিয় একটি কফি। ক্যাফেতে গিয়ে অনেকেই অর্ডার করেন লাতে। খেতে তো ভালোবাসেন, তবে কীভাবে এটি বানাতে হয় জানা আছে আপনার?
লাতে তৈরি করতে হলে লাগবে চার ভাগের এক ভাগ এসপ্রেসো, আধা কাপ মতো দুধ ও কিছুটা মিল্ক ফোম। এখন এই মিশ্রণটি একসঙ্গে কফি তৈরির মেশিনে এক বার ঘুরিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আপনার প্রিয় কফি লাতে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।