দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই আশ্চর্য হতে হয়। মেক্সিকো সিটির ঐতিহাসিক কেন্দ্র হতে ২৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি গ্রাম যার নাম ‘জোচিমিলকো’। সেখানে আড়াই লাখ মানুষ ভেসে থাকে! কীভাবে এবং কেনো?
এই অঞ্চলটিকে খাল ও জলপথের অন্তহীন গোলকধাঁধা বলা যায়। প্রতিটি জলপথ রঙিন ‘ট্রাজিনারাস’ (সমান্তরাল নৌকা) দিয়ে ভরে রয়েছে। কিছু নৌকায় বিক্রেতারা গ্রিলড এলোটস (ভুট্টা) ও মিশেলডা ককটেলও বিক্রি করছে। আবার কোনো কোনো নৌকায় বিভিন্ন ব্যান্ড মেক্সিকোর বিখ্যাত মারিয়াচি সঙ্গীতও বাজাচ্ছে।
বিবিসি বলছে যে, প্রতি সপ্তাহান্তে শত শত পর্যটক সোমব্রেরোস, খাবার, সঙ্গীত ও শিল্পের উজ্জ্বল প্রদর্শনের জন্য জোচিমিলকোর খালে ভিড় জমান। অঞ্চলটি মেক্সিকোর একটি প্রাচীন প্রকৌশল বিস্ময় বলা যায়। এই মানবসৃষ্ট দ্বীপ এবং খামারগুলো আজটেক সাম্রাজ্যের ১৪ শতকের বিশাল ভূমি পুনরুদ্ধার প্রকল্পের একেবারে শেষ নিদর্শন।
সেই ১৩২৫ সালের কথা। তখন অ্যাজটেকরা মেক্সিকো উপত্যকায় এসে পৌঁছায়। তারা টেক্সকোকো হ্রদ দেখে অনেক মুগ্ধ হয়ে যান। বিচরণকারী অ্যাজটেক উপজাতিরা এখানে বসতি স্থাপন করে। এখানে তারা তাদের রাজধানী শহর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তখন এটিকে ‘টেনোচটিটলান’ বলা হতো।
ভূমি সংকট সমাধানে অ্যাজটেকরা ‘চিনাম্পাস’ নামক একটি প্রতিভা পরিকল্পনা তৈরি করে। তারা কৃত্রিমভাবে অগভীর হ্রদের উপর জমির এই দীর্ঘ এবং সরু স্ট্রিপগুলোকে প্রয়োজনীয় উচ্চতার মাটির স্তূপও তৈরি করে। স্থানীয় উইলো গাছের বেড়া দিয়ে তারা লেকের তলায় নোঙর করে।
তারা জোচিমিলকোতে ভাসমান বাগান তৈরি করতে চিনাম্পাস ব্যবহার করতো যা কৃষি, পশুপালন, শিকার ও চারার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। পানির উপর চাষের এই উদ্ভাবনী কৌশলটি অ্যাজটেকরা তাদের ক্রমবর্ধমান সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রাখার অনুমতিও দেয়। যে কারণে ১৩ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত একটি ভাসমান শহর তৈরি হয়ে যায়, যেখানে বসবাস করে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।