দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা মনে করেন তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ফলটি। স্বাস্থ্যের যত্ন নিলেও দাঁতের জন্য আদৌ কী এটি উপকারী?
আলুকাবলি বা ফুচকার পানি তেঁতুল ছাড়া হতেই পারে না। তেঁতুলের পানি না পড়লে স্বাদটাই যেনো খোলে না। তেঁতুল মুখে দিলে তো বটেই, অনেকের আবার তেঁতুলের নাম শুনলেও জিভে পানি চলে আসে। কারও কারও আবার তেঁতুলের টফি সবচেয়ে প্রিয়। শেষ কথা হলো ফুচকা, আলুকাবলি, পাপড়িচাটের মতো চটপটা খাবারের স্বাদ বাড়াতে হলে তেঁতুলের জুড়ি নেই। যারা টক খেতে ভালোবাসেন, তাঁদের কাছে তেঁতুল যেনো স্বর্গ!
শরীরের যত্ন নিলেও দাঁতের জন্য কী আদৌ স্বাস্থ্যকর এই তেঁতুল? চিকিৎসকরা মনে করেন, তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। তাই তেঁতুল শরীরের অন্দরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখতে সহায়তা করে থাকে। নানা ধরনের সংক্রমণের বীজ সমূলেই বিনষ্ট করে এই তেঁতুল। শরীরের কিছু সমস্যার সমাধানে তেঁতুল সত্যিকার অর্থেই সিদ্ধহস্ত।
তবে একটি বিষয় হলো সব কিছুরই কিন্তু ভালো ও খারাপ- দুটি গুণই থাকে। তেঁতুলও এর ব্যতিক্রম নয়। তেঁতুলে অম্লের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। যে কারণে মাত্রাতিরিক্ত হারে তেঁতুল খাওয়ার কারণে এই ফলের অ্যাসিড পাচনতন্ত্রের ক্ষতিও করে। তাছাড়াও অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও তেঁতুল খেলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তেঁতুলে থাকা অ্যাসিডের কারণে রক্তজমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তেঁতুলের এই অ্যাসিডই ক্ষতি করে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দিতে পারে।
এনামেল অর্থাৎ, দাঁতের বাইরের স্তর ও সবচেয়ে শক্ত একটি স্তর, যা দাঁতকে সব ধরনের জীবাণু হতে রক্ষা করে। যেমন দাঁত ভালো থাকে এনামেলের গুণেই। আর তেঁতুল সেই এনামেলেই আঘাত করে। ক্রমশ ক্ষয় করতে থাকে দাঁত। একান্তই তেঁতুল খেতে হলে খাওয়ার পরই সঙ্গে সঙ্গে দাঁত মেজে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বা তেঁতুল খাওয়ার পরই মুখ কুলকুচি করে নিতে হবে। খুব ভালো হয় যদি একবার নুন গরম পানিতে কুলকুচি করে নিতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।