দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে নিত্য এক সমস্যা হলো বদহজম, পেট ফাঁপার সমস্যা। সুস্থ হতে অনেকেই অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ হবেন যেভাবে।
খাওয়া-দাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা- এগুলো বর্তমান সময় খুব সাধারণ লক্ষণ।
খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, ক্রমাগতভাবে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, পানি না খাওয়া, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক গ্যাসের কারণ হয়ে উঠছে। খাওয়া-দাওয়ার পর মুখের ভিতরটা টক টক হয়ে যাওয়া, চোঁয়া ঢেকুর ওঠা- এগুলো বর্তমান সময়ে খুব সাধারণ লক্ষণ। অনেকেই খুব পরিচিত এই ধরনের সমস্যার সঙ্গে। সে কারণে অনেকেই পছন্দের খাবার থেকেও দূরে রাখেন নিজেদেরকে। বদহজম, পেট ফাঁপার মতো সমস্যায় অনেকেই চটজলদি সুস্থ হতে অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ খেয়ে নেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ধরনের ওষুধ বেশি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এতে করে তৎক্ষণাৎ সমস্যা কমিয়ে দিলেও পরবর্তীতে শরীরের ভেতরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চোঁয়া ঢেকুড়, বদহজমকে জব্দ করতে অ্যান্টাসিডের বিকল্প আর কীই বা হতে পারে? অনেকেরই জানা নেই যে, শুধু পায়েস বা পোলাওয়ের স্বাদ বাড়াতেই নয়, কিশমিশ পেট ফাঁপার মতো প্রতিদিনের সমস্যাও দূর করতে পারে। কিশমিশে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, পলিফেনল ও ফাইবার-সহ অনেক পুষ্টির উপাদান। এই পুষ্টিগুণগুলো পেটের সমস্যার চটজলদি সমাধান করে থাকে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও শক্তিশালী হয়। পেট গুড়গুড় করছে বলেই এক মুঠো কিশমিশ খেয়ে নিলেন- তা কিন্তু নয়। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। পেট ফাঁপা ও চোঁয়া ঢেকুরের সমস্যা কব্জায় রাখতে কীভাবে খেতে হবে এই কিশমিশ?
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশ খেলে হজমশক্তি আরও ভালো হয়। তাছাড়াও, এক মুঠো কিশমিশ ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেলেও উপকার পাবেন। শরীরের যাবতীয় বর্জ্য পদার্থ দূর করতে এই পানি দারুণভাবে উপকার করে। রক্ত পরিষ্কার করতেও এর জুড়ি নেই। হজম সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তির সমস্যা দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কিশমিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।