দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা ছোটবেলা থেকেই একটি কথা শুনে আসছি, কোনও নারী জোড়া কলা খেলে নাকি যমজ সন্তানের মা হন! বিষয়টি কী সত্যি, নাকি পুরোটাই কুসংস্কার? আজ জেনে নিন বিজ্ঞান এ বিষয়ে কি বলে।
আমাদের সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে হাজার বছর ধরে ছড়িয়ে আছে এমন সব লোকাবিশ্বাস, যা সত্য বলেই মনে করেন অনেকেই। তেমনই একটি কথা প্রচলিত রয়েছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তরে, আর তা হলো কোনও নারী জোড়া কলা খেলে নাকি যমজ সন্তানের মা হন! তবে বিজ্ঞান সাফ বলে দিয়েছে যে, কলা খাওয়ার সঙ্গে আদৌ যমজ সন্তান হওয়ার কোনও সম্পর্কই নেই। বিষয়টি একেবারেই গুজব ছাড়া কিছু নয়। এটি মূলত কুসংস্কার।
যমজ সন্তান কীভাবে জন্মে?
যমজ সাধারণত দুই প্রকার হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, ‘আইডেন্টিকাল’ এবং ‘নন-আইডেন্টিকাল’। সাধারণত আইডেন্টিকাল যমজ সন্তান একই ‘জাইগোট’ থেকেই জন্ম নেয়। অপরদিকে নন-আইডেন্টিকাল যমজের জন্ম হয় পৃথক ‘জাইগোট’ থেকে।
জাইগোট আসলে কী?
সহজ করে বলতে গেলে, পুরুষের শুক্রাণু যখন স্ত্রীর ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে থাকে, তখন দু’টি কোষ এক হয়েই তৈরি করে একটি একক কোষ। একেই জাইগোট বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রাণের সূচনা যে কোষ থেকে হয়ে থাকে, তাকেই জাইগোট বলা হয়। এই জাইগোটটি তারপর বার বার বিভাজিত হয়ে এক ধরনের কোষগুচ্ছ তৈরি করে থাকে। যা ক্রমশ আরও বিভাজিত হয়ে তৈরি করে ভ্রূণ। আর এই ভ্রূণ থেকেই জন্ম হয়ে থাকে শিশুর।
যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে
সাধারণভাবে একই জাইগোট থেকে একটি শিশুর জন্ম হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটি জাইগোট বিভাজিত হয়ে জরায়ুর অন্য কোনও স্থানে গিয়েও বসে যেতে পারে। তখন দুই আলাদা অংশ হতে দু’টি আলাদা ভ্রূণ তৈরি হয়। এভাবে আইডেন্টিক্যাল যমজ তৈরি হয়ে থাকে। কারণ হলো এদের মূল জাইগোট কিন্তু একটিই। অর্থাৎ কোনও জিনগত উপাদানে কোনও রকম ভেদ নেই। সাধারণভাবে এই ক্ষেত্রে হুবহু একই রকম দেখতে এক জোড়া সন্তানের জন্ম হয়ে থাকে।
নন-আইডেন্টিকাল যমজ যেভাবে হয়
যমজ সন্তান অন্য ভাবেও হতে পারে। সাধারণত প্রতিমাসে মাত্র একটি ডিম্বাণু ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বনালিতে আসে। তবে কখনও কখনও মাসে দু’টি ডিম্বনালি-তে দু’টি পৃথক ডিম্বাণু হাজির হয়। এই দু’টি ডিম্বাণু একই সঙ্গে নিষিক্ত হলেও যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। যেহেতু এরা আলাদা কোষ তাই এরা একই জাইগোট হতে তৈরি নয়, পুরোপুরি এক নয় এদের জিনগত উপাদান। এভাবেই পৃথিবীর আলো দেখে নন-আইডেন্টিকাল যমজরা।
তাহলে এখন আসুন কলা প্রসঙ্গে। কলা খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। কোনও অ্যালার্জি সমস্যা না থাকলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হবু মায়েদের কলা খাওয়ানো যেতে পারে। তবে জোড়া কলা খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তান হওয়ার কোনও রকম যোগ নেই- তা উপরের বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে পরিস্কার হয়ে গেছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।