দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২ খৃস্টাব্দ, ১২ কার্তিক ১৪২৯ বঙ্গাব্দ, ১ রবিউস সানি ১৪৪৪ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
যে মসজিদটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি খুলনার ঐতিহাসিক মসজিদকুড় মসজিদ। খুলনার কয়রা উপজেলার বহু প্রাচীন কপোতাক্ষ নদের পূর্ব পারের ইতিহাসপ্রসিদ্ধ আমাদি গ্রামে এই মসজিদটি অবস্থিত।
ধারণা করা হয় যে, মহাত্মা খানজাহান আলীর শিষ্য বুড়া খান এবং ফতেহ খান এই গ্রামে কাছারি করে এলাকা শাসন করতেন ১৪৫০-১৪৯০ খ্রীস্টাব্দের সময়কালে। তারা এখানে একটি ৯ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণ করেন, যে মসজিদের নাম রাখেন মসজিদকুড়। ইট-সুরকির তৈরি এই মসজিদটি দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রত্নসম্পদ।
কপোতাক্ষ সুন্দরবনের নদ। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসের সময় রাক্ষুসী রূপ পরিগ্রহ করে এটি। মসজিদের দক্ষিণ দিকে বুড়া খান এবং ফতেহ খানের কাছারিবাড়ি এবং সমাধি ছিল, এর অনেকটাই কপোতাক্ষীর বন্যায় ধুয়েমুছে গেছে।
বর্গাকার এই মসজিদটির প্রতি পাশের মাপ হচ্ছে ১৬ দশমিক ৭৬ মিটার, আর ভেতরের মাপ ১২ দশমিক ১৯ মিটার করে। কেবলামুখী দেওয়াল বাদে বাকি ৩ দেওয়ালে মসজিদে ঢোকার জন্য ৩টি করে খিলান প্রবেশদ্বারও রয়েছে। তবে মাঝের প্রবেশদ্বারগুলো অপেক্ষাকৃত বড়। কেবলামুখী দেওয়াল কুঁদে অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব তৈরি করা হয়েছে। তবে মাঝের মিহরাবটি অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের ভেতরে ৪টি স্তম্ভের ওপর ছাদ ভর করে রয়েছে। এই ৪টি স্তম্ভই মসজিদের ভেতরের অংশকে ৯টি সমবর্গক্ষেত্রে ভাগ করেছে। আর বর্গক্ষেত্রগুলো গম্বুজ দিয়ে ঢাকা।
বাগেরহাটে খানজাহান নির্মিত ইমারতগুলোর নকশাও প্রায় একই ধরনের। মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
তথ্যসূত্র: http://www.amadiup.khulna.gov.bd
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।