দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত দেখা যায় কোম্পানিগুলোর দাবির সঙ্গে বাস্তব মাইলেজের কোনোই মিল নেই। তার ওপর জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির পর আরও বেশি পকেট খালি হচ্ছে ব্যবহারকারী বাইকারদের। আজ বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর কিছু জাদুকরি উপায় জেনে নিন।
তেলের দাম বাড়ার পর অনেকেই বাইক ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রেখে দিয়েছেন। তবে শুধুমাত্র কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার বাইকের মাইলেজ বাড়াতে পারেন খুব সহজেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো:
# মাইলেজ বেশি পাওয়ার পূর্বশর্তই হলো সময়মতো বাইক সার্ভিসিং করা। আমরা অনেকেই বাইক কেবলমাত্র চালাতেই থাকি, যত্ন নেই না। তাছাড়াও ছোটোখাটো কোনো সমস্যা হলে খুব একটা গুরুত্বও দিই না। যা একদমই ঠিক না। অবশ্যই নিয়মিতভাবে বাইক সার্ভিসিং করাতে হবে।
# পেট্রোল কিংবা অকটেন যেটিই ব্যবহার করুন না কেনো, অবশ্যই স্বনামধন্য ফিলিংস্টেশন হতে জ্বালানি তেল নিতে হবে। যাতে করে ভালো মানের তেল পাওয়া যায়। তাছাড়াও বিভিন্ন অলিগলির দোকান থেকে খোলা তেল কিনে ব্যবহার করা যাবে না। এসব তেলে ভেজাল থাকতে পারে। যে কারণে মাইলেজ কমে আবার ইঞ্জিনেরও ক্ষতি হয়।
# সব সময় বাইকের টায়ার প্রেসার ঠিকঠাক রাখতে হবে। ১৫ দিন পর পর টায়ার প্রেসার চেক করতে হবে। প্রয়োজনে হাওয়া ঢুকাতে হবে। টায়ার প্রেসার কম থাকলে মাইলেজ কম পেতে পারেন।
# সময়মতো এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করতে হবে। কারণ হলো বাতাসের দূষণ এবং ধূলিকণা খুব সহজেই এর মধ্যে ময়লা জমিয়ে দিতে পারে। যা ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে গিয়ে প্রভাব পড়তে পারে মাইলেজের উপর।
# বাইকের চেইন, ইঞ্জিন এব! অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন নিন। সময়মতো ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন এবং চেইন লুব করুন। তাছাড়াও গিয়ার, ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্টও ঠিক রাখতে হবে।
# প্রয়োজন ছাড়া অযথা ক্লাচ চাপা হতে বিরত থাকুন। আবার অনেকেই হাফ ক্লাস ধরে বাইক চালাতে পছন্দ করেন- এটি কখনও করা যাবে না। ক্লাচের ব্যবহার কম হলে তখন মাইলেজ বাড়বে। তাহলে ক্লাচপ্লেটও দ্রুত নষ্ট হবে না।
# অনেকেই বেপরোয়া গতিতে বাইক চালান। হুটহাট খুব বেশি গতি তোলেন, আবার কমিয়ে ফেলেন। এটি কখনও করা যাবে না। স্বাভাবিক নিয়মে বাইক চালাতে হবে। তাহলে বাইকের মাইলেজ কমবে না।
# সঠিক গিয়ারে বাইক চালাতে হবে। কম গিয়ারে বেশি পিকাপ দিলে কিংবা স্পিড তোলার চেষ্টা করলে মাইলেজও কম পাবেন। বাইকের স্পিড বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে গিয়ারের সমন্বয় করাটাও বেশ জরুরি। এতে করে গিয়ারবক্সও দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
# অনেক সময় বাইক নিয়ে দীর্ঘক্ষণ সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সময়টাতে অনেকেই বাইকের ইঞ্জিন বন্ধ করেন না। যে কারণে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি অপচয় হয়ে থাকে। তাই সিগনাল ১৫/২০ সেকেণ্ডের বেশি হলে অবশ্যই ইঞ্জিন বন্ধ রাখুন। এতে করে মাইলেজ বেশি পাবেন।
# বাইকের ধারণক্ষমতা অনুযায়ী ওজন বহন করুন। অতিরিক্ত লোড নিলে ইঞ্জিনে চাপ বেশি পড়লে বাইক দ্রুত সামনে আগায় না। তথ্যসূত্র: আরটিভি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।