দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সকালে কম খাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা- বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যার জন্য এই কারণগুলোই মূলত দায়ি। প্রতিরোধ করতে যা করবেন।
বর্তমান সময় বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা ঘরে ঘরে দেখা যায়। ৮ থেকে ৮০- অনেকেই এই রোগে ভুগছেন। কায়িক পরিশ্রম কমে যাওয়ায় বদহজমের অন্যতম কারণ। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা। বিশেষ করে যারা ষাট পেরিয়েছেন, তাদের মধ্যে এই ধরনের সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যায়। তবে কমবয়সীদের মধ্যে অনেকেই পেটের গোলমালে ভুগে থাকেন। বদহজম তো রয়েছেই আবার সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যও কম ভোগায় না। পানি কম খাওয়া, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা- এই কারণগুলো এ সবের জন্য বেশি দায়ি। তবে এগুলোই যে একমাত্র- তা কিন্তু নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে আরও কিছু কারণ।
খাওয়ার পরে গোসল করার অভ্যাস
সারাদিন অফিসে পরিশ্রমের ক্লান্ত হয়ে বা়ড়ি ফিরলেন। পেট খিদেয় চোঁ চোঁ করছে বলে তাড়াতাড়ি গোসল না করেই খেতে বসে পড়লেন। অনেকেই এই কাজটি করে থাকেন। সাধারণত খাওয়ার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। যে কারণে দ্রুত হজম হয়। খেয়ে ওঠার পর মুহূর্তে গোসর করার কারণে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। যে কারণে হজমের সমস্যাও দেখা দেয়।
বিলম্বে দুপুরের খাবার খাওয়া
পুষ্টিবিদরা মনে করেন, কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো- কখন খাবার খাচ্ছেন। খাওয়ার সময়টা সব ক্ষেত্রেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে রোগা হওয়ায় হোক কিংবা পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখায় হোক। অফিসে থাকলে অনেক সময় খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময়ই থাকে না। খাবারে দেরি হয়ে যায়। আর অনেকক্ষণ ধরে পেট ফাঁকা থাকার কারণে গ্যাস জমতে শুরু করে পেটের মধ্যে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে পৌঁছাতেই শুরু হয়ে যায় বদহজম। তাই দুপুর ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে অবশ্যই খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
রাতে দই খাওয়ার প্রবণতা ছাড়ুন
যারা দই খেতে ভালোবাসেন, খাওয়ার সময়টা তাদের কাছে খুব একটা জরুরি মনে হয় না। দই নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর খাবার। দই এ থাকা ভিটামিন সি, বি ১২, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম শরীর ভালো রাখে। তবে রাতে দই খাওয়ার প্রবণতার কারণে বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকিও।
খেয়েই ঘুমানো
পাতের খাবার শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সোজা ঘুমাতে চলে যান অনেকেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর কোনো বিষয় নয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে এই অভ্যাস থেকে আপনাকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ হলো, খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। যে কারণে হজম দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। খাওয়ার পরই ঘুমিয়ে পড়লে দেহের তাপমাত্রাও কমতে থাকে। যে কারণে ঠিক মতো হজমও হতে পারে না। এতে করে দেখা দেয় বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো নানা সমস্যা। তাই রাতে ঘুমানোর অন্তত ২ থেকে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খান। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।