দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুদ্ধে ইউক্রেনের অনেক স্থানে রুশ বাহিনী তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। অনেক স্থানে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পর্যাপ্ত না থাকায় প্রতিরোধ গড়তে ব্যর্থ হচ্ছে রুশ সেনারা।
আবার ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলার মুখে অস্ত্র এবং সরঞ্জামও হারিয়েছে রুশ বাহিনী। এমন এক পরিস্থিতিতে যুদ্ধের গতি ধরে রাখতে অস্ত্র সরঞ্জামের উৎপাদন বাড়ানো এবং তা দ্রুত যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের হাতে পৌঁছানোর নির্দেশ দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্ত্র এবং সরঞ্জাম উৎপাদন বাড়ানো ও যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের হাতে তা দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটিও গঠন করেছেন পুতিন। গত ২৫ অক্টোবর সেই কমিটির বৈঠক অনু্ষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বৈঠকে জানানো হয় যে, ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র সরঞ্জামের এতোটাই ঘাটতি সামনে এসেছে, এর সমাধানে পুতিনকে একটি কাঠামো তৈরি করতে হয়। এছাড়াও পুতিন এই সময় ইউক্রেনের সব এলাকায় যুদ্ধের গতি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেন।
ইউক্রেনে ৩ লাখ সেনা নিযুক্তের ঘোষণাও দিয়েছেন পুতিন। রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে, এইসব সেনাদের মধ্যে অনেকেই এখনও প্রয়োজনীয় অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম পাননি। এমনকি তাদের এখনও চিকিৎসাসামগ্রী এবং বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও দেওয়া হয়নি।
অনেকেই নিজ উদ্যোগে এইসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছেন। সম্মুখযুদ্ধে অংশ নিতে অনেকেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পাননি। প্রেসিডেন্ট পুতিন গত সপ্তাহে রুশ সেনাদের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরও পরিদর্শন করেন।
ওই সময় এই ঘাটতির বিষয়টি আড়াল করার চেষ্টা করা হয় বলে মনে করছেন অনেকেই। পরিদর্শনকালে পুতিন ওইসব রুশ সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন, যাদের পর্যাপ্ত অস্ত্র এবং সরঞ্জাম রয়েছে।
তবে ঘাটতির বিষয়টি উঠে আসে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন হতে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার গোলাবারুদের সরবরাহ অনেক কমে গেছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার জানিয়েছে যে, ধারণা করা হচ্ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মজুতও কমে গেছে। তাই যুদ্ধে এইসব অস্ত্রের ব্যবহার অনেকটা কমিয়ে দিয়েছে মস্কো। তাছাড়াও এমনও হতে পারে যে, রাশিয়া কৌশলগত কারণে সামরিক লক্ষ্য বদলে ফেলেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।