দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাশূণ্যে বিচিত্র এক ব্ল্যাক হোল এর সন্ধান পেয়েছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ব্ল্যাক হোলের সাধারণ বৈশিষ্ট্য থেকে ব্যতিক্রমধর্মী ব্ল্যাক হোলটি নাসার চন্দ্র মানমন্দির শনাক্ত করেছে।
নতুন ব্ল্যাক হোলটির নাম রাখা হয়েছেSagittarius A* যা পড়তে হবে Sagittarius A-star। সংক্ষেপে এটিকে Sgr A* নামকরণ করা হয়েছে। দৈত্য আকৃতির ব্ল্যাক হোলটি পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত। চন্দ্র এক্স-রে মানমন্দির এর সহায়তায় দেখা যায় অতি উত্তপ্ত গ্যাস ব্ল্যাক হোলটির চারপাশে কুন্ডলীত হচ্ছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা Sgr A* বিচিত্র কিছু বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন। চন্দ্র মান মন্দির দিয়ে তোলা ছবির মাধ্যমে বোঝা যায় ব্ল্যাক হোলটি তাত্ত্বিক ভাবে প্রচলিত অনেক ধারণা বিরোধী। মজার ব্যাপার হচ্ছে ব্ল্যাক হোলটি গলাধঃকরণ করছে না। ব্ল্যাক হোল এর ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত ধারণাটি হচ্ছে ব্লাক হোল সব কিছু গ্রাস করে নেয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা Sgr A* নামের ব্ল্যাক হোলটির রহস্যের কুল কিনারা করতে পারেন নি এখনো। ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের জনাব ডেনিয়াল ওয়াং বলেন, বড় বড় গ্যালাক্সিগুলোকে অন্তত একটা বৃহদায়তন এবং ভরের ব্ল্যাক হোল থাকে। কিন্তু এগুলো আমাদের থেকে এত দূরে থাকে যে এদের বিষয় বস্তু সংক্রান্ত গবেষণা করা খুব কঠিন। গুটি কয়েক যে কটা ব্লাক হোল আমাদের নিকটে আছে সেগুলোর মধ্যে Sgr A* নামের ব্ল্যাক হোলটি যথেষ্ট নিকটে আছে।
ব্ল্যাক হোলকে বাংলায় কৃষ্ণ বিবর বলা হয়। এটি মহাবিশ্বের অস্তিত্ব ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি বহুল প্রচলিত ধারণা। ধারণা করা হয়, ব্ল্যাক হোল এত ঘন সন্নিবিষ্ট বা এর ভর এত বেশি যে মহাকর্ষীয় শক্তি এর ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে পারে না। বরং সব কিছু এটি গ্রাস করে নিতে পারে। নক্ষত্রের আয়ু শেষ হলে বা নক্ষত্র ধ্বংস প্রাপ্ত হলে সেখানে থেকে ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি হয় এরকম তাত্ত্বিক ধারণা প্রচলিত আছে। তাত্ত্বিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও মহাবিশ্বেস সৃষ্টির রহস্য বিগ ব্যাং এর মতন ব্ল্যাক হোলও সর্বজন স্বীকৃতি পায় নি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরাও এর গ্রহণযোগ্য প্রত্যক্ষ প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেন নি।
নানা মতবাদ থাকলেও এখন দেখার বিষয় Sagittarius A* রহস্য কুলকিনারা করতে পারেন কিনা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
চন্দ্র মানমন্দির দিয়ে তোলা কিছু ছবি:
তথ্যসূত্র: দি টেক জার্নাল
ছবি কৃতজ্ঞতা: নাসা